—ফাইল চিত্র।
আবার সন্দেশখালি এল সিবিআই। শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দু’টি দল দুই দিকে গিয়েছে। একটি দল থানার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। অন্য দলটি গিয়েছে সুন্দরীখালি এলাকায়।
শনিবার সকালে ধামাখালির দিকে দেখা যায় সিবিআইয়ের একটি দলকে। একটি সূত্রের খবর, ওই দলটি যাচ্ছে থানায়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালি ঘটনার তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পর বেশ কয়েক বার থানায় এসেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকেরা। শনিবারও তদন্তের প্রয়োজনেই সেখানে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, নতুন করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই শনিবারের সন্দেশখালি অভিযান সিবিআইয়ের। অন্য একটি দল আবার সন্দেশখালির সুন্দরীখালি এলাকায় গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে এর আগে ওই এলাকায় সিবিআই গিয়েছে বলে শোনা যায়নি। সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই সুন্দরীখালিতে অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। একটি সূত্রের খবর, জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এ বার।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। অন্য দিকে, সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহিলা নির্যাতন, জমির জবরদখল, স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর জুলুমবাজির যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে শাহজাহান শেখ ছাড়া নাম ছিল শিবু হাজরা এবং অন্যদের। যাঁদের বেশিরভাগই শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অথবা এখনও রয়েছেন। ইতিমধ্যে ইডি শাহজাহানের বেআইনি কাজকর্মের তদন্তে নেমে জমি বেদখল করা, জুলুমবাজি ইত্যাদি অভিযোগের দিকে নজর দিয়েছে। যে ব্যাপারে এ বার তাঁর সহযোগীদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তারা।
এর মধ্যে সন্দেশখালিতে শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের জমি জোর করে দখল করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে সুপারিশ করেছে মানবাধিকার কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে ‘দখলিকৃত’ জমি বৈধ মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা। তা ছাড়াও কমিশনের সুপারিশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ইডি)-র করা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত, স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধি, তাঁদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা, দখলিকৃত জমিকে চাষের জন্য উপযোগী করে তোলা, সন্দেশখালি থানা এলাকায় ‘নিখোঁজ’ মেয়েদের উদ্ধারে তদন্ত চালানোর কথা বলা হয়েছে। এই সুপারিশগুলির ভিত্তিতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করছে, তা জানতে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কমিশন।