—ফাইল চিত্র।
একটি মাদ্রাসার তিন শিক্ষককে তাঁদের বকেয়া বেতন মেটাতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার। ছ’বছরের বকেয়া তিনটি কিস্তিতে আগামী জানুয়ারি মাস থেকে মেটানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়া এলাকার ময়নাগড়িতে এলাহি বক্সএইউ হাইমাদ্রাসা আছে। ওই হাইমাদ্রাসার শিক্ষক মহম্মদ রিয়াজুল ইসলাম, মিনহাজউদ্দিন আহমেদ ও রেহানা খাতুন ‘অর্গানাইজার স্টাফ’ ছিলেন। তাঁদের আইনজীবী এক্রামুল বারি বৃহস্পতিবার জানান, ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে দশম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত হয় ওই মাদ্রাসা। পরিদর্শনের সময় স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা ওই তিন শিক্ষকের নাম স্থায়ী শিক্ষকের তালিকাভূক্ত করেননি। তার জেরে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনজন। ২০১০ সালে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় মাদ্রাসা শিক্ষার ডিরেক্টরকে নির্দেশ দেন, তিন শিক্ষককে স্থায়ী নিয়োগ করতে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা দয়ের করে। ২০১২ সালে তৎকালীন বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আপিল মামলা খারিজ করে। পরের বছর তিন শিক্ষককে স্থায়ী চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।এক্রামুল জানান, মাদ্রাসা দশম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত হওয়ার সময় থেকে কেন তাঁদের স্থায়ী চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে না, এই প্রশ্ন তুলে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ ওই তিন শিক্ষক। সেই মামলায় বিচারপতি সরকার গত ১৪ নভেম্বর রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, মাদ্রাসা উন্নীত হওয়ার সময় থেকে ওই তিন শিক্ষকের চাকরি স্থায়ী হয়েছে বলে মানতে হবে এবং বকেয়া মেটাতে হবে।