সন্দেশখালির বিজেপি কর্মী পিয়ালি দাস জেল হেফাজতে। — ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির বিজেপি কর্মী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে সাত দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। মঙ্গলবারই বসিরহাটের মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পিয়ালি। প্রসঙ্গত, পিয়ালির বিরুদ্ধে সাদা কাগজে সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল। মঙ্গলবার তিনি জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিজেপি কর্মীকে সাত দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
সন্দেশখালির আন্দোলনে লেগেছে ভিডিয়োর হুল। আর তাতেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে একের পর এক অভিযোগ। তার মধ্যে সবচেয়ে সাড়া জাগানো অভিযোগ ছিল, স্থানীয় মহিলাদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে তাতে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণের অভিযোগ লিখে থানায় জমা দেওয়া। সেই অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী পিয়ালি। এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ পিয়ালিকে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছিল।
বিজেপি কর্মী পিয়ালির বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্থানীয় এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ ছিল, যখন মহিলা কমিশন সন্দেশখালিতে আসে, সেই সময় মহিলাকে বাড়ি থেকে অভিযোগ করার জন্য ডেকে নিয়ে যান পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি। অভিযোগ, একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে পিয়ালি মহিলাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে সেই সাদা কাগজে লিখে দেওয়া হয়, ওই মহিলার উপর নির্যাতন করা হয়েছে।
কিন্তু মহিলার দাবি, এ রকম অভিযোগ তিনি করেননি। তাঁর অভিযোগ ছিল কাজ করে টাকা না পাওয়ার। কিন্তু অভিযোগপত্রে তাঁর বয়ান বদলে দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে পিয়ালির বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পিয়ালির বাড়িতে সন্দেশখালি থানার পক্ষ থেকে নোটিস পাঠানো হয়। এর পর পিয়ালি বেশ কয়েক দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার পিয়ালি জামিন চেয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।