অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
অভিষেক বলেন, “পুরুলিয়া জেলায় বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে ২৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৩৬ জনকে। প্রতি বছর ২ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা খরচ করে রেশন দিচ্ছে আমাদের সরকার।” তিনি আরও বলেন, “আগে চাষের জমিতে জল পৌঁছত না। এখন চাষের জমিতে জল পৌঁছেছে, গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হয়েছে, কৃষক বাজার হয়েছে। তফসিলিবন্ধু চালু হয়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রের দেওয়া দরকার, তা আমাদের সরকার দিয়েছে।”
স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার হয়েছে। আর বিজেপি কী করেছে? ‘‘এত বড় শূন্য। আপনার থেকে ভোট নিয়েছে, আর ঠকিয়েছে’’, বললেন অভিষেক।
‘‘সবাইকে অনুরোধ করব খালি জোড়াফুলে ভোট দিলে হবে না। ওঁরা আপনাদের যে ভাবে ঠকিয়েছে, আপনারা এমন ভাবে জবাব দেবেন, আগামী ৫০ বছর যেন হাড়ে হাড়ে টের পায় বিজেপি’’, বললেন অভিষেক।
আপানারা সবাই লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন। আগে ৫০০ টাকা ছিল, এখন ১০০০ টাকা করা হয়েছে। পুরুলিয়া থেকে ৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৭৫ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন। তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোকে জিজ্ঞাসা করুন, কত টাকা খরচ করেছে! ভোট চাইতে গেলে বিজেপির কাছে রিপোর্ট কার্ড চাইবেন।
অভিষেক বলেন, ‘‘সন্দেশখালি নিয়ে চেঁচাত বিজেপি। কিন্তু বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল দাবি করেছেন, এটি সাজানো ঘটনা।’’ অভিষেক আরও বলেন, ‘‘বাংলার ১০ কোটি মানুষের সম্মান দেশের কাছে নষ্ট করেছে। ২০১৯ সালে বিজেপি জিতেছে, ১০০ দিনের টাকা বন্ধ, আবাসের টাকা বন্ধ, সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা বন্ধ।’’
জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো ভোট চাইতে এলে তাঁকে লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে প্রশ্ন করবেন। আমাকে পুরুলিয়ার মায়েরা, দিদিরা, ভাইয়েরা বলেছে, ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছি না। জিজ্ঞাসা করেছিলাম তাঁদের, ২০১৯ সালে কাকে ভোট দিয়েছিলেন? ওঁরা বলেছিলেন বিজেপিকে। এটাও বলেন যে, ভুল হয়ে গিয়েছে।