Sandeshkhali Incident

সন্দেশখালির ‘সন্দেশ’ নিতে শিবির বিজেপির, প্রিয়ঙ্কার নেতৃত্বে অভিযোগ শুনছেন জনা ২০ আইনজীবী

সন্দেশখালিবাসীর অভিযোগ জানতে শিবির করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেছিল বিজেপি। আদালতের নির্দেশ পেয়ে সেই শিবির করছেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৩:৪৮
Share:

সন্দেশখালিতে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। —নিজস্ব চিত্র।

সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ জানতে শিবির করল বিজেপি। কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের নেতৃত্বে ২০ জন আইনজীবী সন্দেশখালির আগারাটি বিটপোল বাজার এলাকায় শিবির করেছেন। শনিবার সকাল থেকে সেই শিবিরে ভিড় দেখা গিয়েছে। কারও অভিযোগ সরাসরি সন্দেশখালির সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে। কারও আঙুল শাহজাহানের ঘনিষ্ঠদের দিকে। প্রিয়ঙ্কা জানান, এই সমস্ত অভিযোগ তাঁরা লিপিবদ্ধ করে হাই কোর্টে হলফনামা করে দেবেন।

Advertisement

সন্দেশখালিবাসীর অভিযোগ জানতে শিবির করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেছিল বিজেপি। আদালতের নির্দেশে তার পর এই শিবির করছেন প্রিয়ঙ্কারা।

সন্দেশখালিতে জমি দুর্নীতি থেকে নারী নির্যাতনের নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। জমি সংক্রান্ত অভিযোগ জানতে রাজ্য সরকারের ভূমি রাজস্ব দফতরের তরফেও শিবির হয়েছে সন্দেশখালিতে। অভিযোগ জানতে দুয়ারে সরকার শিবিরের মতো মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েও অভিযোগ-অনুযোগ নথিবদ্ধ করেছেন সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের শাসকদলের তরফে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে বিজেপিও শিবির করল সন্দেশখালিতে।

Advertisement

শনিবার ওই শিবিরে পৌঁছে নানা অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। তবে বেশির ভাগই জমি দখলের অভিযোগ। মালতি মাহালি নামে এক মহিলা অভিযোগ করেন ২০১৭ সালে তাঁদের একটি জমি দখল করে নেন শাহজাহানের অনুগামীরা। তার স্বামী দুলাল মাহালি সেই জমি উদ্ধার করতে শাহজাহানের কাছে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকে বলা হয়েছিল ট্যাংরামারি স্কুলে দেখা করতে। কিন্তু তার পর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। ওই মহিলার অভিযোগ, স্বামীর খোঁজে একাধিক বার শাহজাহানের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সন্দেশখালি থানায় অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে জানান প্রিয়ঙ্কা।

বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী হিংসার সময়ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা। সন্দেশখালিতে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, এখান থেকে কী সন্দেশ পাওয়া যায় আমরা দেখতে চাই। চার দিক থেকে লোক আসছেন। তাঁদের বিশ্বাস যে, আমরা তাঁদের জন্য কিছু করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement