আজ বন্‌ধ বনগাঁ শহরে 

তৃণমূলের দাবি, দলের কর্মীরা ওই কার্যালয়টি তৈরি করেছিলেন। কর্মীরা নিজেদের টাকায় আসবাবপত্র কিনেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩২
Share:

প্রতিবাদ: বিজেপির মিছিল।—ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

বনগাঁ পুরসভার এক বিজেপি কাউন্সিলর-সহ কয়েক জন দলীয় কর্মীকে পুলিশ মারধর করেছে, এই অভিযোগ তুলে বুধবার বিকেলে শহরে ধিক্কার মিছিল করল বিজেপি। পুলিশ অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বনগাঁর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ বাটারমোড় এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়ে শেষ হয় মতিগঞ্জ এলাকায়। উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার দুই সভাপতি দেবদাস মণ্ডল ও মধু মণ্ডল। থানার সামনে প্রতিবাদ সভা করা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বনগাঁ শহরে বন‌্ধ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। বিজেপির দাবি, নিউ বাটারমোড় এলাকায় তাদের কাউন্সিলর শুভেন্দু মিস্ত্রির কার্যালয় আছে রেলের জমিতে। বনগাঁ থানার পুলিশ ও তৃণমূলের লোকজন মঙ্গলবার ওই অফিসটি জোর করে দখল করে নেয়। কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু-সহ কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে পুলিশ মারধর করেছে বলেও অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূলের দাবি, দলের কর্মীরা ওই কার্যালয়টি তৈরি করেছিলেন। কর্মীরা নিজেদের টাকায় আসবাবপত্র কিনেছিলেন। বনগাঁ শহর তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘কাউন্সিলর দলত্যাগ করতেই পারেন। তা বলে কার্যালয়টি বিজেপির হয়ে যেতে পারে না। ওটি তৃণমূলের কার্যালয় ছিল। বিজেপি জোর করে দখল করে রেখেছিল। মঙ্গলবার আরপিএফ সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’’

শুভেন্দু পুরভোটে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। লোকসভা ভোটের পরে তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওটি কাউন্সিলরের অফিস ছিল। তৃণমূলের দলীয় অফিস ছিল না।’’ মারধরের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশও। বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেন, ‘‘ওই কার্যালয়টি দু’পক্ষই নিজেদের বলে দাবি করেছিল। উত্তেজনা থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। বিজেপির লোকজন পুলিশকে কটূক্তি করেন। পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। কাউকে মারধর করা হয়নি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement