Murder

বিষ্ণুপুর হত্যাকাণ্ডে আটক ৩ ‘বিজেপি’ কর্মী, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বলছে পদ্মশিবির

রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার দুর্গাবাটিতে খুন হন ওই এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডল। সেই সময় এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সাধন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৪
Share:

নিহত সাধন মণ্ডল। — নিজস্ব চিত্র।

বিষ্ণুপুরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় তিন জনকে আটক করল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁদের। সোমবার ওই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেখানে ৫ জন স্থানীয় বাসিন্দার নাম রয়েছে। এলাকায় তাঁরা ‘বিজেপি কর্মী’ হিসাবেই পরিচিত। রবিবার রাতের ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে তৃণমূল। যদিও তা অস্বীকার করেছে গেরুয়াশিবির। তাদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে এই ঘটনা।

Advertisement

রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার দুর্গাবাটিতে খুন হন ওই এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডল। সেই সময় এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সাধন। বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ওই কাণ্ডে শুভাশিস মণ্ডল ওরফে ভুতু, স্বপন মণ্ডল, তাপস মণ্ডল, অরুণ মণ্ডল এবং স্বরূপ মণ্ডল নামে ৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দা। এলাকায় ওই ৫ জনই পরিচিত ‘বিজেপি কর্মী’ হিসাবে।

সাধনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই এই খুন। এর আগেও সাধনের উপর হামলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে পারিবারিক সূত্রে। তৃণমূলের আঁধারমানিক অঞ্চলের সভাপতি পিন্টু সর্দারের অভিযোগ, ‘‘একাধিক বার হুমকি দেওয়া হয়েছিল সাধনকে। তাঁকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল।’’ বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম এখন বিজেপি হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তারা যৌথ ভাবে আমাদের শক্তিশালী কর্মীদের খুন করে আমাদের সংগঠনকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। এর আগেও এরা এমন করেছে। ব্যক্তিগত ক্ষোভ, রাগকে কাজে লাগিয়ে ছক কষে এই সব করা হচ্ছে। ভুতু নামে একটি ছেলে বিজেপি এবং সিপিএমের অপরাধীদের নিয়ে সুপারি কিলারকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে।’’

Advertisement

বিজেপি ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু পালটা বলেন, ‘‘জমিবিবাদ, এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল এটা। সাধন মণ্ডলকে কারা খুন করেছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। যিনি খুন হয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধেই দু’টি খুনের অভিযোগ রয়েছে। এর উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ বিষ্ণপুরে দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ।

সাধন হত্যার তদন্ত নিয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।’’ রবিবারের ঘটনার পর থমথমে দুর্গাবাটি এলাকা। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement