মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
দল তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করতেই খড়দহে ভোটযুদ্ধের ময়দানে নেমে পড়লেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার খড়দহের শ্যাম মন্দিরে পুজো দেন তিনি। সেখান থেকে ব্যারাকপুরে গিয়ে মনোনয়নও জমা দেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেতা ওই আসনটি ফের দখল করা নিয়ে নিশ্চিত জোড়াফুল শিবির। যদিও লড়াই ‘জোরদার’ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পদ্মশিবিরও।
উপনির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থী ঘোষণার আগেই খড়দহে নেমে পড়েছিলেন শোভনদেব। ভবানীপুরের বাড়ি থেকে ওই কেন্দ্রে গিয়ে প্রাচীন শ্যাম মন্দিরে পুজো দেন তিনি। গত পয়লা জুনের সেই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে এ বারও। বৃহস্পতিবার ওই একই মন্দিরে পুজো দিয়ে ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে যান তিনি। সেখানে মনোয়নপত্র জমা দেন শোভনদেব। তৃণমূল প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি, ‘‘খড়দহে জয় পাওয়ার পর আমার প্রথম কাজ হবে এলাকার রাস্তাঘাট এবং নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।’’
৩০ অক্টোবর ভোট খড়দহে। তার আগেই রয়েছে বাঙালির মহোৎসব, দুর্গাপুজো। পুজোয় ভোট প্রচারের কর্মসূচি নেই তৃণমূল প্রার্থীর। তবে সেই সময় ওই কেন্দ্রের প্রতিটি পুজো মণ্ডপ ঘোরার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। লক্ষ্য, পুজো দেখার পাশাপাশি জনসংযোগও সেরে নেওয়া। তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নকে সামনে রেখেই এই ভোটযুদ্ধে আমরা নামছি। ওই কেন্দ্রে জয় নিয়ে নিশ্চিত জোড়াফুল শিবির।’’
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ নিশানা করেছেন তৃণমূলকে। অর্জুন বলছেন, ‘‘দীর্ঘ দিন বিদ্যুৎমন্ত্রী থাকার পরেও বাংলার মানুষকে কী ভাবে বিদ্যুতের মাশুল দিতে হয় সেটা সকলেই জানেন। উনি রাজ্যে শিল্প আনার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে পারেননি।’’ অর্জুনের দাবি, বিজেপিপ্রার্থী জয় সাহা জিতলে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন খড়দহ কেন্দ্রে। খড়দহে অর্জুনের ‘লক্ষ্যভেদ’ করা যে কঠিন তা মানছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ গত বিধানসভা ভোটে খড়দহে কাজল সিংহকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ফল বেরোলে দেখা যায় ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তকে হারিয়ে দিয়েছেন কাজল।