শাহজাহান শেখ। — ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল বসিরহাট মহকুমা আদালতে। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুক্রবার শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানেই তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু তা খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
শুক্রবার বসিরহাট আদালতে হাজির করানো হয় শাহজাহানকে। তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় নাম জড়িয়েছিল শাহজাহানের। এই মামলায় আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে সিবিআইয়ের পাশাপাশি, এই মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডিও। গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানকে খুঁজতে সন্দেশখালি যান ইডি আধিকারিকেরা।
কিন্তু শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে তাঁর খোঁজ পায়নি ইডি। সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ, শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন তাঁর অনুগামী। তাঁরাই ইডির উপর চড়াও হন। ইডি আধিকারিকদের হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়েছিল। ইডির উপর হামলার এই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দু’টি এফআইআর হয়েছিল। একটি এফআইআর হয় ইডির অভিযোগের ভিত্তি। অন্য এফআইআরটি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রুজু করে পুলিশ। ওই দু’টি মামলাতেই মোট ৩৪টি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল শাহজাহানের বিরুদ্ধে।
ইডির উপর হামলার ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহজাহান। এর পরেই সন্দেশখালির নানা জায়গায় স্থানীয়দের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জমি-ভেড়ি দখল, মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হন তাঁর শাগরেদ উত্তর সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরা। পরে শাহজাহানও গ্রেফতার হন রাজ্য পুলিশের হাতে। ইডি এবং সিবিআই দফায় দফায় নিজেদের হেফাজতে নেয় তাঁকে। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন শাহজাহান।
এর আগে, শাহজাহান পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রুজু করা মামলায় জামিন পান। তবে বাকি মামলায় জামিন মেলেনি তাঁর। শুক্রবার আবার জানিনের আবেদন করা হলেও তা খারিজ হয়ে যায়। আগামী আগামী ১৯ জুলাই আবার শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বসিরহাট আদালতের বিচারক।