বনগাঁয় বনভোজনের আয়োজন তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র
দলীয় কর্মীদের নিয়ে বনভোজন করে জনসংযোগের বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। পুরভোটের মুখে রবিবার বনভোজনের আয়োজন করল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর তৃণমূল শিবিরও। স্বাভাবিক ভাবেই তা নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে পদ্মশিবিরের নেতাদের গলায়। যদিও তা গায়ে মাখছেন না বনগাঁর জোড়াফুল শিবিরের নেতারা।
রবিবার বনগাঁর এক নম্বর ওয়ার্ডের মগপাড়ার বাসিন্দাদের নিয়ে বনভোজনের আয়োজন করেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। ওই বনভোজনে অংশগ্রহণ করেন হাজার খানেক মানুষ। আবার বনগাঁ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর টুম্পা রায়ের উদ্যোগে মহিলাদের নিয়েও আরও একটি বনভোজনের আয়োজন করা হয়। সেখানে খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি গানবাজনারও আয়োজন করা হয়েছিল। টুম্পার কথায়, ‘‘প্রায় দেড় হাজার মহিলা এই বনভোজনে যোগদান করেছেন। আমরা এটা প্রতি বছর ছোট করে করে থাকি। আগে বুথ ধরে ধরে বনভোজন হত। এ বার ওয়ার্ডভিত্তিক আয়োজন করা হয়েছে।’’
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডলের কথায়, ‘‘বনভোজন যে কেউ করতেই পারেন। আমরা হতাশ কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক যাত্রা করছি করেছি। সেটা কেউ অনুসরণ করতেই পারেন।’’ বিজেপি-র কটাক্ষের জবাবে শঙ্করের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা সকলে মিলে প্রীতিভোজের আয়োজন করেছি। কে কী করছে ওটা দেখে লাভ নেই। সারা বছরই আমাদের এমন ভাবে জনসংযোগ চলে।’’