দুই ছাত্র খুনে ভাঙড় থেকে আটক যুবক। — নিজস্ব চিত্র।
বাগুইআটিতে দুই ছাত্রকে অপহরণ এবং পরে খুনের ঘটনায় এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে এক যুবককে আটক করল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। আটক যুবকের নাম রবিউল মোল্লা বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি ভাঙড়ের পোলেরহাটের বাসিন্দা। তাঁকে ভাঙড় থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় এর আগে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই রবিউলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে ওই কাণ্ডের মূল চক্রী সত্যেন্দ্র চৌধুরি এখনও অধরা।
বাগুইআটি-কাণ্ডের তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছিল বুধবার। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভাঙড় থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করলেন তদন্তকারীরা। ওই দুই ছাত্রকে অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় রবিউল কোনও ভাবে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই অভিজিৎ বসু, শামিম আলি, সাহিল মোল্লা এবং দিব্যেন্দু দাস নামে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিজিৎকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করানো হয়। সেই সময় বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বুধবার শামিম, সাহিল এবং দিব্যেন্দুকে আদালতে হাজির করানো হয় আদালতে। বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার জোড়া খুনের তদন্তভার হাতে নিয়েই সিআইডি বৃহস্পতিবার সকালেই পৌঁছে যায় বাগুইআটি থানায়। যে গাড়িটি ব্যবহার করে অতনু এবং অভিষেককে খুন করা হয়েছিল, সেটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়। ইতিমধ্যেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষ এবং তদন্তকারী আধিকারিক (আইও) প্রিতম সিংহকে বুধবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাগুইআটি থানার নতুন আইসি হিসাবে দায়িত্ব নেন শান্তনু সরকার।
বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই স্কুল পড়ুয়া নিখোঁজ হয় গত ২২ অগস্ট। দু’দিন তাদের কোনও খোঁজ না পেয়ে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। পরিবারের অভিযোগ ছিল, দু’জনকেই অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অতনুর বাবা অভিযোগ করেন, তিনি মুক্তিপণ চেয়ে ‘মেসেজ’ পেয়েছিলেন। অপহরণকারীরা বার বার মুক্তিপণের অঙ্ক বদলায় বলেও অভিযোগ। এর প্রায় ১৩ দিন পর মঙ্গলবার বসিরহাট পুলিশ জেলা থেকে উদ্ধার হয় অতনু এবং অভিষেকের দেহ।