কেস্টর পাশেই আছেন দিদি। ফাইল চিত্র।
কেষ্টর পাশেই আছেন দিদি। ফের সেই বার্তা দিয়ে এ বার তাঁকে বীরের মর্যাদা দিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘সব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে দিচ্ছে। গত কাল মলয় ফাইট করে বলে দিয়েছে সব মিথ্যে।’’ এর পরেই বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির প্রসঙ্গে টেনে আনেন। মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি ভাবছে, কেষ্টকে জেলে পুরে বীরভূমের দু’টো আসন জিতে নেবে। সে গুড়ে বালি।’’ তিনি প্রশ্নের সুরে আরও বলেন, ‘‘সব ভোটেই তো ওকে নজরবন্দি করেছ। তা-ও কোনও ভোটে কি জিততে পেরেছ? তাই এ বারও পারবে না।’’
এর পরেই সম্মেলনে উপস্থিত তৃণমূলের বীরভূম থেকে নির্বাচিত বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ বিভিন্ন পদাধিকারিকদের উঠে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন তিনি। তাঁরা নেত্রীর নির্দেশ মতো দাঁড়াতেই নির্দেশের সুরে মমতা বলেন, ‘‘এ বার সবাইকে তিন গুণ লড়াই করতে হবে। কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে বার করে আনতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, গত ৮ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে সিবিআই গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে। প্রথম দিকে তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকলেও, কেষ্টর প্রতি নিজের সমর্থনের কথা জানাতে বিলম্ব করেননি মমতা। অনুব্রতর আগে ২৩ জুলাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)-র হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে মমতার মুখে সমর্থনের বাণী শোনা না গেলেও, ১৪ অগস্ট পার্থের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমে সভা করতে গিয়ে মমতা অনুব্রতর প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন। এর পরে বৃহস্পতিবার আরও স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন অনুব্রতর পাশেই রয়েছে দল। যা শুনে তৃণমূলেরই অনেকে বলছেন, ‘‘জেলে বসে এই কথা শোনার পরে আরও বেশি স্বস্তি পাবেন অনুব্রত।’’