সচেতনতা শিবিরে ছিল সাপের কামড় নিয়ে কুসংস্কারের মোকাবিলায় বিশেষ কর্মশালা। ছবি: সংগৃহীত।
সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে বন দফতরের সহযোগিতায় সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করল বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া’ (ডব্লিউটিআই) এবং লোকমাতা রানি রাসমণি মিশন।
দেউলবাড়ি-দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর অঞ্চলে নাইয়াপাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বাদাবন এবং বন্যপ্রাণ রক্ষায় জনসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ছিল সাপের কামড় নিয়ে কুসংস্কারের মোকাবিলায় বিশেষ কর্মশালা।
ডব্লিউটিআই-এর আধিকারিক সম্রাট পাল বলেন, ‘‘সাপে কাটা রোগীকে বাঁচাতে ওঝা-গুনিনের উপরে ভরসা না করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য বন দফতরের কুলতলি বিটের কর্মীদের সহযোগিতায় প্রচার চালিয়েছি আমরা। পাশাপাশি, বিষধর এবং বিষহীন সাপ শনাক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও ছিল।’’
এ ছাড়া শিবিরে ছিল শিশুদের ‘বসে আঁকো’ ও খেলাধুলায় প্রতিযোগিতা। সচেতনতা শিবিরে হাজির ছিলেন কুলতলির বিট অফিসার সামিম প্রধান এবং ডব্লিউটিআই-এর প্রসেনজিৎ শীল এবং এবং লোকমাতা রানি রাসমণি মিশনের অমিতাভ রায়। সুন্দরবনের জীব পরিমণ্ডলের বাঘ-সহ জীববৈচিত্রের গুরুত্ব ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তাঁরা। জানান, সুন্দরবনের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র ধ্বংস হলে সঙ্কটের পড়বে মানুষও।
সামিম জানান, এ ধরনের শিবিরের তাঁদের মূল উদ্দেশ্য গ্রামবাসীদের মধ্যে সুন্দরবন ও তার বন্যপ্রাণ নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা। এমন উদ্যোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সাড়া ফেলে এবং বিভিন্ন বয়সের গ্রামবাসীরা তাতে অংশগ্রহণ করেন। আগামী দিনে তাই এই ধরনের কর্মসূচি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে চালিয়ে যাওয়া হবে।