প্রতীকী চিত্র
পণ্যভর্তি ট্রাকে করে বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ টাকার ওষুধ পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ। আটক করা হয়েছে ট্রাকচালককে। উদ্ধার করা হয়েছে ওষুধ।
রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায়। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ পেট্রাপোল থেকে আরও এক ওষুধ পাচারকারীকে ধরে বিএসএফ।
বিএসএফ জানিয়েছে, আটক দুই পাচারকারীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ওষুধের মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
বিএসএফ সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ একটি সন্দেহজনক ট্রাক তাঁদের নজরে আসে। ট্রাকটি ভারত থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছিল। জওয়ানরা ট্রাকটিতে তল্লাশি চালান। ট্রাকের কেবিনের ভিতর দু’টি বড় ব্যাগ থেকে ওষুধ উদ্ধার হয়। ট্রাক এবং ওষুধগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ট্রাক চালককে হেফাজতে নেওয়া হয়।
বিএসএফ জানিয়েছে, পাচারকারী চালকের নাম হৃদয় দেবনাথ। বাড়ি পেট্রাপোলে। বিএসএফের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাক চালক জানিয়েছে, সে নিয়মিত পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যায়। এ দিন বাংলাদেশের বেনাপোলে পৌঁছে ওষুধগুলি হাসান নামে এক বাংলাদেশি ট্রান্সপোর্টারের কাছে দেওয়ার কথা ছিল। এই পাচার কাজের জন্য সে ১৫০০ টাকা পেয়েছে।
অতীতে পণ্যভর্তি ট্রাকে ইলিশ মাছ, রুপোর গয়না, সোনার বিস্কুট, পর্নোগ্রাফি ক্যাসেট পাচারের ঘটনা ঘটেছে। ওষুধ পাচারের ঘটনা এই প্রথম বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
এ দিন দুপুরে পেট্রাপোলে দু’টি ব্যাগ-সহ এক জনকে আটক করে বিএসএফ। ব্যাগ থেকে ওষুধ পাওয়া যায়।
বিএসএফ জানিয়েছে, ধৃতের নাম কমল দাস। তার বাড়ি পেট্রাপোলে। সে ভ্যান চালায়। এক ব্যক্তি তাকে ২০০ টাকা দিয়েছিল ওষুধগুলি বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধের জেরে বাংলাদেশ থেকে রোগীরা চিকিৎসার জন্য এদেশে আসতে পারছেন না। তাই সাম্প্রতিক সময়ে এদেশ থেকে বাংলাদেশে ওষুধ পাচার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওষুধ এবং ধৃত দু’জনকে পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।
পেট্রাপোলে আমদানি-রফতানি ট্রাক এবং যাত্রীদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের আড়ালে পাচার বন্ধ করতে বিএসএফ শুল্ক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েছে।