—প্রতীকী চিত্র।
গরফায় এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে এখনও পর্যন্ত পাল্লা ভারী আত্মহত্যার দিকে। মমতাজ বিবি নামে ওই মহিলার মৃতদেহের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। বুধবার সকালে গরফা থানা
এলাকার নর্থ পূর্বাচল রোডের একটি বাড়ির একতলা থেকে দেহ উদ্ধার হয় মমতাজ বিবির। তাঁকে মেঝেতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই বাড়িতে এক যুবকের সঙ্গে থাকতেন মমতাজ। তবে তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ময়না তদন্ত করা হয়েছে মমতাজের দেহের। ময়না তদন্তের চিকিৎসকেরা পুলিশকে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন, মমতাজের মাথার পিছনে বা দেহে যে সমস্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, সেগুলি মৃত্যুর পরে ঘটেছে। তাঁর সঙ্গে বসবাসকারী যুবক বাপ্পা দে বুধবার পুলিশের কাছে দাবি করেছিলেন, তিনি ঘটনার সময়ে বাড়িতে ছিলেন না। পরে বাড়িতে ফিরে তিনি মমতাজের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তিনিই ওড়নার ফাঁস কেটে দেহটি নামান। ওই যুবকের দাবি, দেহটি নামানোর সময়ে খাটের কোনায় মমতাজের মাথাটি লাগে। তাতেই আঘাত লাগে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, গত দু’বছর ধরে গরফার ওই বাড়ির একতলার একটি ঘরে বাপ্পার সঙ্গে ভাড়া থাকছিলেন মমতাজ। তাঁরা লিভ-ইন করতেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। যদিও মৃতার পরিবারের তরফে এ
দিন পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।