Jute Mill

টিটাগড়ে বন্ধ চটকল, কর্মহীন দু’হাজারেরও বেশি শ্রমিক

শ্রমিকদের অভিযোগ, বাইরে থেকে সস্তায় ঠিকা শ্রমিক আনিয়ে কাজ করানোর প্রতিবাদ করাতেই কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৪২
Share:

বন্ধ চটকলের বাইরে শ্রমিকদের ভিড়। সোমবার, টিটাগড়ে। নিজস্ব চিত্র

বন্ধ হয়ে গেল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আরও একটি চটকল। সোমবার সকালে টিটাগড়ের এম্পায়ার জুটমিলে কাজ বন্ধের নোটিস দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকেরা। সমস্যা না মিটিয়ে মিল বন্ধের পিছনে কর্তৃপক্ষের ‘অন্য উদ্দেশ্য’ রয়েছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। মিল খোলার দাবিতে এ দিন সকালে বি টি রোড অবরোধ করেন তাঁরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

শ্রমিকদের অভিযোগ, বাইরে থেকে সস্তায় ঠিকা শ্রমিক আনিয়ে কাজ করানোর প্রতিবাদ করাতেই কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, অন্যায্য দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলেই তাঁরা মিল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে ওই মিলে শ্রমিক-সংখ্যা দু’হাজারেরও বেশি। মিল বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়লেন তাঁরা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই মিল কর্তৃপক্ষ ২০০-২৫০ টাকা দৈনিক মজুরিতে বাইরে থেকে ঠিকা শ্রমিক এনে কাজ করাচ্ছেন। সস্তা মজুরির ঠিকা শ্রমিকেরা ভাল ভাবে কাজ না করায় উৎপাদন ধাক্কা খাচ্ছে। অথচ, কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে মিলের স্থায়ী এবং অস্থায়ী শ্রমিকদের দোষারোপ করছিলেন। তা নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে গোলমাল শুরু হয়। গত দু’দিন ধরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে শ্রমিকদের ইউনিয়নগুলি।

Advertisement

তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার কুণ্ডু বলেন, “কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃত ভাবে মিল বন্ধ করে ভাতে মেরে শ্রমিকদের ক্ষোভ দমনের চেষ্টা করছেন। আমাদের ইএসআই-এর টাকা জমা পড়ছে না। ফলে নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ নেই। প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা পড়ছে না। সে সব নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। ঠিকা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর বদলে তাঁদের নিয়মিত করার দাবি জানিয়েছিলাম। তাতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওঁদের হাতে অর্থ নেই। আমরা বলেছি, হাতে অর্থ না থাকলে মিলের দায়িত্ব তাঁরা ছেড়ে দিন।”

গত দু’দিন ধরে শ্রমিকেরা মিলের ভিতরেই আন্দোলন করেছেন। মিল কর্তৃপক্ষ নোটিসে জানিয়েছেন, গত দু’দিনে মিলের যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা শ্রমিকদের কাছ থেকেই আদায় করা হবে। এই ঘোষণা দেখে প্রবল ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সদিচ্ছা থাকলে কর্তৃপক্ষ মিল খোলা রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement