নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন। প্রতীকী চিত্র।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বিয়ে রুখলেন পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙা এলাকার দক্ষিণ অম্বলহাড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবারই ওই নাবালিকা পরীক্ষার্থীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা ভেস্তে গিয়েছে।
আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগেই বাসুলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ অম্বলহাড়া গ্রামের ওই পরীক্ষার্থীর বিয়ের আয়োজন করেছিল তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে। তাই সকাল থেকেই বাড়িতে অনুষ্ঠানের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। আত্মীয়রাও হাজির হয়েছিলেন। রান্নার আয়োজনও চলছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিক এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা হাজির হন ওই ছাত্রীর বাড়িতে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আটকে দেওয়া হয় ওই নাবালিকার বিয়ে।
বছর সতেরোর ওই ছাত্রী বলসিদ্ধি সাজমহল স্কুলের ছাত্রী। ওই ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল আমতলার এক যুবকের। তবে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রী এবং তাঁর বাবা-মাকে থানায় নিয়ে যান। এর পর এসডিপিও মিতুন দের নির্দেশে আইসি গৌতম মিত্র এবং বিডিও মিলনতীর্থ সামন্তের উপস্থিতিতে বোঝানোর পালা চলে ওই পরিবারটিকে। ছাত্রীর পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও পরিবারে অভাব-অনটনের কথা ভেবেই বিয়ে স্থির করা হয়েছিল। এর পর ছাত্রীর অভিভাবকদের থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয়। সতর্ক করা হয় পরিবারটিকে।
মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন এমন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম এবং ভাতারে। সম্প্রতি আউশগ্রামে অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে যায় এক ছাত্রী। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, বিয়ের দিন ঠিক হবে বলে বাড়ির লোকেরা তাকে ঘরে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। পরে পুলিশ অ্যাডমিট কার্ড এনে তাকে পরীক্ষায় বসানোর ব্যবস্থা করে। প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে ভাতার থানার বেরুয়াগ্রামেও। সেখানকার এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে প্রশাসনিক কর্তারা পৌঁছে বিয়ে আটকে দেন। পরীক্ষার্থী যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারে সেই নির্দেশও দেওয়া হয় তার পরিবারকে।