Tanusree Chakraborty

Tanusree: তথাগতবাবু ভুলে গিয়েছেন তিনিও এক নারীর সন্তান? নয়তো শ্রাবন্তীকে অপমান করতেন না: তনুশ্রী

অভিনেত্রী আনন্দবাজার অনলাইকে সাফ জানিয়েছেন, ‘‘সমাজে সিনেমার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ গঠনে, সমাজের শুভ পরিবর্তনে ছায়াছবির অবদান অস্বীকার করা যায় না। তাই সব কাজে, সব ক্ষেত্রে ডাক পড়ে অভিনেতাদের। সেটা উৎসব উদযাপনেই হোক। কিংবা রাজনীতিতে। তথাগত রায়ের বোধহয় মনে থাকে না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২২ ১৭:২৯
Share:

তথাগত, তনুশ্রী এবং শ্রাবন্তী

বন্ধু শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ফের তথাগত রায়ের কটাক্ষের শিকার। একটি করে ঘটনা ঘটেছে, বিজেপির প্রবীণ নেতা তোপ দাগছেন অভিনয় আঙিনা থেকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া অভিনেতাদের বিরুদ্ধে। যেমন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শত্রুপক্ষের সঙ্গে দোল খেলা নিয়েও সোচ্চার হন তিনি। নিজের দলকেও এ বিষয়ে ধিক্কার জানান। নির্বাচনে পরাজয়ের পরে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন শ্রাবন্তী, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পায়েল সরকার, পার্নো মিত্রদের দিকে। সম্প্রতি, বিজেপি ছেড়ে একের পর এক নেতা ফিরে যাচ্ছেন শাসকদলে। সেই নিয়ে মন্তব্য করেছেন টুইটে। সেখানেই নিন্দনীয় ভাষায় তথাগত বিঁধেছেন শ্রাবন্তীকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে বিঁধলেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। অভিনেত্রী আনন্দবাজার অনলাইকে সাফ জানিয়েছেন, ‘‘সমাজে সিনেমার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ গঠনে, সমাজের শুভ পরিবর্তনে ছায়াছবির অবদান অস্বীকার করা যায় না। তাই সব কাজে, সব ক্ষেত্রে ডাক পড়ে অভিনেতাদের। সেটা উৎসব উদযাপনেই হোক। কিংবা রাজনীতিতে। তথাগত রায়ের বোধহয় মনে থাকে না।’’

Advertisement

কখনও শিল্পীদের রগড়ে দেওয়ার হুমকি বিজেপির। কখনও প্রাক্তন রাজ্যপালের তো দলীয় নেতাদের অশ্লীল ইঙ্গিত, ‘শ্রাবন্তীই সবচেয়ে চালাক। যা দেওয়ার অকাতরে দিয়েছে। যা পাবার পেয়েছে। তার পর পেশায় প্রত্যাবর্তন। বাই বাই রাজনীতি।’ একুশ শতকের মাঝামাঝি এসেও কি অভিনয় পেশা বা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অস্বস্তির কারণ? নাকি এ ভাবেই তাঁদের উদ্দেশে কটূক্তি করা যায়? উত্তরে তনুশ্রীর যুক্তি, ‘‘খুব আনন্দ হলেও যেমন মানুষ ছবি দেখেন। খুব দুঃখ হলেও। আমাদের ফুটিয়ে তোলা চরিত্র সবার হাসি-কান্না-ব্যথার সঙ্গী হয়।ফলে, আমরা খুব সহজে মানুষের মন ছুঁয়ে যেতে পারি। প্রতিটি দর্শক বা অনুরাগী কিন্তু অভিনীত চরিত্র দিয়ে আমাদের চেনেন। আমরাও জনপ্রিয় হয়ে উঠি। আদতে আমরা সহজলভ্য নই।’’

তার পরেই শ্রাবন্তীর দলবদল নিয়ে তনুশ্রীর বক্তব্য, তাঁর বন্ধু যা করছেন নিজের দায়িত্বে করছেন। যেটা মনে করছেন সেটাই করছেন। এই স্বাধীনতা তাঁর আছে। তাই করছেন। এবং তিনি একজন নারী। তথাগত রায় বোধহয় সেটাও ভুলেছেন। তিনি এটাও ভুলেছেন, নারীর সম্বন্ধে মন্তব্য করার আগে দশ বার ভেবে নেওয়া উচিত। বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘তথাগতবাবুর মা-ও তো নারী! তিনি নিজে এক নারীর সন্তান। সে সব ভুলে আর এক নারীকে কী করে এ ভাবে অসম্মানিত করলেন?’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement