বারুইপুরের টং তলায় সরকারের উদ্যোগে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এই কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে। তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পূর্বভারতের প্রথম কমপ্লেক্স তৈরি সম্ভব হয়েছে। টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমের শ্যুটিংয়ের জন্য সমস্ত রকম সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
মমতার উদ্যোগে খুঁজে পাওয়া গেল ‘শ্যুটিংয়ের সেরা ঠিকানা’।
চলচ্চিত্র চর্চা, প্রশিক্ষণের জন্য আর রাজ্যের বাইরে যেতে হবে না পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে। সে রকমই বন্দোবস্ত করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুঁজে পাওয়া গেল ‘শ্যুটিংয়ের সেরা ঠিকানা’। ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন তিনি। ২০১২ সালে তৈরি টেলি আকাদেমি এ বার ঠিকানা পেল বারুইপুরে। নেতাজি ইন্ডোর স্টে়ডিয়ামে টেলি আকাদেমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ১০ একর জমির এই কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখালেন মমতা।
সকল কলাকুশলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বললেন, ‘‘কোভিডের সময়ে দেশবাসী যখন গৃহবন্দি, তখন তাঁদের বন্ধু হয়ে তাঁদের পাশে ছিলেন এই টেলিভিশন। বিশেষ করে ধারাবাহিকের শিল্পীদের তো তুলনাই হয় না। আমি নিজেও রাতের দিকে সময় পেলে ধারাবাহিক দেখি। আপনাদের জন্য আমরা গর্বিত। এই কমপ্লেক্স আপনাদের প্রাপ্য। বারুইপুরে কিন্তু খুব দূরে নয়। গড়িয়া থেকে একটি উড়ালপুলও তৈরি করা হয়েছে। যাতায়াতে কোনও অসুবিধা হবে না কারও।’’বারুইপুরের টং তলায় সরকারের উদ্যোগে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এই
কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে। তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পূর্বভারতের প্রথম কমপ্লেক্স তৈরি সম্ভব হয়েছে। টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমের শ্যুটিংয়ের জন্য সমস্ত রকম সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
টেলিভিশন, চলচ্চিত্র চর্চায় উৎসাহী ছেলেমেয়েদের জন্য এখানে বিশেষ প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে চলবে ওয়ার্কশপও। পাশাপাশি তাঁদের থাকা-খাওয়ার জন্য হোস্টেল, ক্যান্টিনের ব্যবস্থাও রয়েছে। মোট চারটি স্টুডিয়ো রয়েছে এই কমপ্লেক্সে। ফিকশন এবং নন-ফিকশনের শ্যুটিংয়ের জন্য যা উপযুক্ত। পিসিআর রুম ছাড়াও সেট তৈরির জন্য বিশাল খোলা মাঠ রাখা হয়েছে। সভা, সম্মেলনের জন্য বিশাল ঘর তৈরি করা হয়েছে এই কমপ্লেক্সে। পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমির সভাপতি অরুপ বিশ্বাস, সহ-সভাপতি রাজ চক্রবর্তী এবং আরও পদাধিকারী মানুষের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে শ্যুটিংয়ের নতুন ঠিকানা।