গাংপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ জাকাত মাঝি পারগানার। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে আদিবাসী তরুণী খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করল আদিবাসী সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’। রবিবার গাংপুর সংলগ্ন ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে তির-ধনুক, হাঁসুয়া, টাঙ্গি ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ দেখান আদিবাসী পুরুষ-মহিলারা।
গত ১৪ অগস্ট রাতে বাড়ি থেকে খানিক দূরে মেলে আদিবাসী তরুণীর রক্তাক্ত দেহ। ওই মামলার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। কিন্তু, কোনও অভিযুক্ত এখনও ধরা-না পড়ায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন মৃতার পরিবারের একাংশ। শনিবার মৃতার বাড়িতে গিয়ে একই দাবি করতে শোনা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপির এসটি মোর্চার সভাপতি জুয়েল মুর্মু। তখন মৃতার বাবা সুকান্ত হাঁসদাও একই কথা বলেছেন। তিনি আশঙ্কা করেছেন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে। জুয়েল এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরজি কর-কাণ্ডের তুলনা টেনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আরজি কর-কাণ্ডের মত এই ঘটনা চাপা দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। পুলিশ নান্দুরের ঘটনাও ধামাচাপা দিতে চাইছে। প্রমাণ লোপাটও হয়ে যেতে পারে।’’ ওই খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাস্তায় নেমে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বামেরাও। শনিবার বর্ধমান শহরের কার্জনগেট চত্বর থেকে বাম ছাত্র যুব এবং মহিলা সমিতি মিছিল করে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই-র রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি অবশ্যই লালবাজার যাব। তবে তার আগে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে যাব। কারণ, যে পুলিশ দেহ লোপাট করে দিতে পারে, যে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ লোপাট করতে পারে, যে পুলিশ আরজি করকে রক্ষা করতে পারে না, সে পুলিশকে তো বিশ্বাস করতে পারছি না।’’
শনিবার বিকেলে নান্দুরে খুন হওয়া তরুণীর বাড়িতে যান আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। তিনি মৃতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। হত্যাকাণ্ডের সুরাহা না-হলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।