সুভাষগ্রাম স্টেশনে রেল অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সুভাষগ্রাম স্টেশনে রবিবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলল ট্রেন অবরোধ। সকাল ছ’টা থেকে বেলা প্রায় ১০টা পর্যন্ত চলে অবরোধ। সপ্তাহের বাকি ছয় দিনের তুলনায় রবিবার ট্রেনের সংখ্যা এমনিতেই কম থাকে। এরই মধ্যে যাত্রীদের অভিযোগ, সকালের দিকে শিয়ালদহগামী আপ বারুইপুর লোকাল বাতিল করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে সকাল প্রায় ছ’টা থেকে সুভাষগ্রাম স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, নামখানা বা লক্ষ্মীকান্তপুরের দিক থেকে আসা ট্রেনগুলিতে ভিড় হয়। ফলে সুভাষগ্রাম স্টেশন থেকে সেগুলিতে উঠতে সমস্যা হয় যাত্রীদের। এমনকি রবিবার সকালে এক মহিলা যাত্রী এরকমই একটি ভিড় ট্রেনে উঠতে গিয়ে প্লাটফর্মে পড়ে গিয়ে চোট পান বলেও অভিযোগ।
এ সবের প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে রেল অবরোধ শুরু করেন মহিলা যাত্রীরা। পরে আরও অন্যান্য যাত্রীরাও শামিল হন অবরোধ ও বিক্ষোভে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকা এই অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েন ট্রেন যাত্রীরা। রবিবার ছুটির দিন হলেও, প্রচুর যাত্রী নিজেদের প্রয়োজনে শিয়ালদহে যাতায়াত করেন। গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদেরও। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছতে না পারায় ক্ষোভ জমছে আটকে থাকা ট্রেনের যাত্রীদের মনে।
অবরোধের খবর পেয়ে সুভাষগ্রাম স্টেশনে পৌঁছন সোনারপুর জিআরপি থানার পুলিশকর্মীরা। বারুইপুর থেকে আরপিএফ কর্মীরাও যান সুভাষগ্রামে। তাঁরা দফায় দফায় অবরোধকারীদের বোঝানোর চেষ্টা চালান। শেষে রেলের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপের আশ্বাস মেলায় বেলা ১০টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুদ্ধ যাত্রীরা।
রবিবার সকালে এই অবরোধের জেরে আপ ও ডাউন উভয় লাইনেই সাময়িক বিঘ্নিত হয়েছিল রেলের স্বাভাবিক পরিষেবা। অবরোধের কারণে বারুইপুর, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, কাকদ্বীপ লাইনে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ রয়েছে। যদিও শিয়ালদহ থেকে সোনারপুর ও ক্যানিং লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিকই ছিল। এখন অবরোধ উঠে যাওয়ায় আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন পরিষেবা।