সুযোগ পেলেই সহ শিক্ষিকাদেরও অসন্মানজনক কথা বলতেন এই শিক্ষক। প্রতীকী চিত্র
সহ শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল প্রধান শিক্ষককে। হাসনাবাদের আমলানি গ্রামের বাসিন্দা আসিক ইকবাল মণ্ডল বসিরহাটের মধ্যমপুর গোলাইচণ্ডী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্কুল থেকেই বৃহস্পতিবার ধরা হয় তাঁকে। বিষয়টি জানতে পেরে বসিরহাট ১ বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষেরা স্কুলে আসেন।
পরে এক শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে আসিক বলেন, ‘‘চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নানা অছিলায় মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন প্রধান শিক্ষক। সুযোগ পেলেই সহ শিক্ষিকাদেরও অসন্মানজনক কথা বলেন। স্কুলের মধ্যে খারাপ আচরণ করেন। শিক্ষিকাদের অনেকের মোবাইলে কদর্য মেসেজ পাঠাতেন। এমনকী, ছাত্রীদের প্রতিও অশালীন আচরণ করতেন তিনি। অভিভাবিকাকেরও অনেকের একই অভিযোগ।
এ দিন প্রধান শিক্ষককে অপসারণ এবং গ্রেফতার করে দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবিতে স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান অনেকে। পরিস্থিতি সামলাতে স্কুলে হাজির হন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নুরজাহান বিবি, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফজলুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য সাহানুর মণ্ডল প্রমুখ। দীপেন্দু বলেন, ‘‘মাসখানেক আগে স্কুলের এক ছাত্রী আমাকে ফোন করে প্রধান শিক্ষকের কার্যকলাপ নিয়ে অভিযোগ জানায়।’’
এ দিন অভিযোগকারিণী শিক্ষিকা বলেন, ‘‘আমাদের নোংরা ইঙ্গিত করতেন উনি। আপত্তিকর কথা বলতেন। সব সহ্য করেছিলাম। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোনও ভাবে নিজেকে সংশোধন করতে রাজি নন। প্রতিবাদ করায় মারধরের হুমকিও দেন। তাই ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়েছি।’’ বসিরহাট থানার আইসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকেই গ্রেফতার করেন।