নিহত প্রসূন মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল কয়েক জন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এমনকি, ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ টাকা এবং জমিজমা সংক্রান্ত নথিপত্রও লুঠ করা হয় বলেও অভিযোগ। সোমবার এই ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির ঈশ্বরীপুরে ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ঈশ্বরীপুর পঞ্চায়েতের শ্যামবসুরচক এলাকার বাসিন্দা প্রসূন মণ্ডলের (৬০) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় রাস্তা থেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। প্রসূনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে ওই ঘটনায় কয়েক জন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে প্রসূনের পরিবার। কুলপি থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগও। শ্যামবসুরচক বাজারে তাঁর একটি সোনার দোকান রয়েছে।
নিহত প্রসূনের দাদা প্রদীপ মণ্ডল কুলপি থানায় তাঁদের প্রতিবেশী নিমাই মণ্ডল, উৎপল মণ্ডল, সৈফুদ্দিন পুরকাইত এবং শামসুদ্দিন পুরকাইতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মূল অভিযুক্ত নিমাই-সহ বাকিরা। পুলিশ জানতে পেরেছে, দীর্ঘ দিন ধরেই ব্যবসায়ী প্রসূনের সঙ্গে ওই প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি নিয়ে মামলা চলছিল। অভিযোগ, প্রসূনের জমির দলিল এবং বিভিন্ন কাগজপত্র জাল করে বিক্রি করে দিয়েছে প্রতিবেশীরা। তা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত৷ প্রসূনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে কুলপি ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরে বিবদমান সব পক্ষকেই ডাকা হয়েছিল। সেখানেই রওনা দিয়েছিলেন প্রসূন। কিন্তু বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে যাওয়ার পরই ওই প্রতিবেশীরা তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই প্রসূনের মাথায় পাথর এবং রড দিয়ে আঘাত করা হয়। থেঁতলে দেওয়া হয় মাথা।