ফাইল চিত্র
পুজোর পরেই চার আসনের উপনির্বাচন। তবে সেই উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট থাকছে না। কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার আগেই সোমবার সব ক’টি আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে সেটাই বুঝিয়ে দিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সোমবার বিকেলে বামফ্রন্টের পক্ষে জানানো হয়েছে, দিনহাটায় ফরওয়ার্ড ব্লকের আব্দুর রউফ, খড়দহে সিপিএমের দেবজ্যোতি দাস এবং গোসাবায় আরএসপি-র অনিলচন্দ্র মণ্ডল ভোট লড়বেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে জোটের পক্ষে এই তিন আসনে বামেদেরই প্রার্থী ছিল। আর শান্তিপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেসের ঋজু ঘোষাল। তবে এ বার কংগ্রেস সেখানে প্রার্থী দেবে কি না তার অপেক্ষা না করে সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে সেখানে দলের টিকিটে লড়বেন সৌমেন মাহাতো।
রবিবারই ভবানীপুরের ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। একেবারেই কম ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বসু। তার পরের দিনই বাকি চার আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামেরা। প্রসঙ্গত, ভবানীপুর আসনের প্রার্থী ঘোষণা নিয়েই বাম-কংগ্রেস জোট ভাঙার সূচনা হয়। এপ্রিলের ভোটে ভবানীপুরে জোটের তরফে লড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। তবে, প্রার্থী দেয় সিপিএম।
এর পরে কলকাতায় সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, “ইলেকশন ছিল, মোর্চা ছিল। ইলেকশন শেষ, মোর্চাও শেষ।” অর্থাৎ ভোট শেষ, জোট শেষ। বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করতে তিনি ইতিহাস টেনে এনে এমনটাও বলেন যে, “জনতা পার্টি এসেছিল ইন্দিরা গাঁধীকে হারাতে। হারিয়ে দেওয়ার পরেই জনতা পার্টি শেষ। ইমিডিয়েট পারপাসের জন্য ফ্রন্ট তৈরি হয়। ইভেন্ট শেষ হলে পারপাস থাকে না।” সোমবার কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার তোয়াক্কা না করেই শান্তিপুরের প্রার্থী ঘোষণার মধ্য দিয়ে যেন ইয়েচুরির বক্তব্যকে সত্যি করে দেখিয়ে দিল সিপিএম।