Tiger Attack

Tiger Attack: উদ্ধার করেও বাঁচানো গেল না! বাঘের হানায় প্রাণ গেল পাথরপ্রতিমার মৎস্যজীবীর

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শঙ্কর ভক্তা (২১)। তিনি পাথরপ্রতিমার পশ্চিম দ্বারিকাপুরের বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাথরপ্রতিমা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপিঠ উপকূল থানার ধূলাভাসানি জঙ্গলে। ওই মৎস্যজীবীর সঙ্গীরা তাঁকে বাঘের মুখ থেকে উদ্ধার করে নৌকায় তুলেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

Advertisement

ওই মৎস্যজীবীর সঙ্গীরা তাঁর দেহ গ্রামে ফিরিয়ে আনেন। খবর দেওয়া হয় বন দফতর এবং স্থানীয় থানায়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শঙ্কর ভক্তা(২১)। তিনি পাথরপ্রতিমার পশ্চিম দ্বারিকাপুরের বাসিন্দা।

স্থানীয় এবং বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের নদী এবং খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরার জন্য রবিবার একটি ডিঙি নৌকা নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন পাথরপ্রতিমার কয়েক জন মৎস্যজীবী। সেই দলেই ছিলেন দ্বারিকাপুরের বাসিন্দা শঙ্কর। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ তাঁরা ধূলাভাসানি জঙ্গল লাগোয়া খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরছিলেন। সেই সময় আচমকা জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে শঙ্করের উপর। তাঁর ঘাড় ও পিঠে থাবা বসায় বাঘ। তা দেখে অন্য মৎস্যজীবীরা লাঠি এবং নৌকার বৈঠা নিয়ে মারতে থাকে আক্রমণকারী বাঘকে। কাদার উপর টানা কয়েক মিনিট ধরে চলতে থাকে বাঘ-মানুষের রুদ্ধশ্বাস লড়াই।

Advertisement

আক্রমণের কিছুক্ষণ পর শিকার ছেড়ে দিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘটি। পরে শঙ্করকে উদ্ধার করে নৌকা নিয়ে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে নৌকাতেই মৃত্যু হয় শঙ্করের। মঙ্গলবার ভোরে দেহ নিয়ে আসা হয় পাথরপ্রতিমার নদীঘাটে। খবর দেওয়া হয় পাথরপ্রতিমা থানা এবং রামগঙ্গা রেঞ্জ অফিসে। ইতিমধ্যেই রেঞ্জার অসীম দণ্ডপাতের নেতৃত্বে বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। এ বিষয়ে জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল বলেছেন, ‘‘ওই মৎস্যজীবী দলটির কাছে জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরার লিখিত অনুমতিপত্র ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement