ঘরে ফিরল কফিনবন্দি দেহ। —নিজস্ব চিত্র
উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের রাঘবপুরের খ্রিস্টানপল্লির চার জন। ওঁরা চার জনই বন্ধু। সোমবার সকলের ফেরার কথা ছিল বাড়িতে। তার বদলে দুপুরে বাড়িতে ফিরল তিন জনের দেহ। এখনও নিখোঁজ এক জন।
রাঘবপুরের খ্রিস্টানপল্লির বাসিন্দা সৌরভ ঘোষ, বিকাশ মাখাল এবং সুখেন মাঝি। আর খ্রিস্টানপল্লিতেই মামার বাড়ি বারুইপুরের কল্যাণপুরের বাসিন্দা রিচার্ড মণ্ডলের। সেই সূত্রেই চার জনের পরিচয় গাঢ় হয়েছিল। ওরা চার জনই প্রায় সমবয়সি। কিছু দিন আগে চার বন্ধু মিলে গিয়েছিলেন উত্তরকাশীতে ট্রেকিং করতে। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ বিপর্যয়ে তাঁদের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সৌরভ ঘোষ, বিকাশ এবং রিচার্ড, এই তিন জনের দেহ ফিরল বাড়িতে। রাঘবপুরের ঝাঁঝরা সেন্ট পল চার্চের সামনে কাতারে কাতারে মানুষ ঢল নামে তিন জনকে শেষ দেখা দেখতে। কারও হাতে ছিল ফুল, কারও হাতে ছিল প্রদীপ। তিন জনের কফিনবন্দি দেহ ফিরে এলেও এখনও নিখোঁজ সুখেন।
এলাকার তিন যুবকের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই। সোমবারই সৌরভ এবং বিকাশের দেহ সমাধিস্থ করা হয়। তবে রিচার্ডের দেহ পাঠানো হয় তার বারুইপুরের বাড়িতে। রিচার্ডের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগেই তাঁর বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। নভেম্বরের শুরুতে বিয়ের কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ট্রেকিংয়ের নেশা দাঁড়ি টেনে দিল সেই স্বপ্নে।