চাঙড় ভেঙে জখম

স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন টিফিনের সময়ে রহিদুল সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামছিল। সে সময়ে কার্নিসের চাঙড় খসে তার মাথায় পড়ে। রক্ত বেরোতে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০২:০০
Share:

বিপত্তি: জখম রহিদুল

ছাদের চাঙড় খসে জখম হল পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়া। রহিদুল লস্কর নামে ওই ছাত্রকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। শুক্রবার দুপুরে ঢোলাহাট থানার কাকদ্বীপ ব্লকের মৃণালনগর রাখাল বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের ঘটনা।

Advertisement

স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন টিফিনের সময়ে রহিদুল সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামছিল। সে সময়ে কার্নিসের চাঙড় খসে তার মাথায় পড়ে। রক্ত বেরোতে থাকে। শিক্ষকেরা তাকে নিয়ে যান স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে। সেখানে চিকিৎসার পরে শিক্ষকেরাই বাড়িতে পৌঁছে দেন।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্কুলটি। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হয়। ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৬২২ জন। শিক্ষকের সংখ্যা কম। তিনতলা ভবন দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হয় দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। ছাদের চাঙড় খসে পড়ছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে এই পরিস্থতি। শৌচালয় খারাপ। সংখ্যাতেও যথেষ্ট নয়। স্কুলের মেঝে এখনও পাকা হয়নি। বেঞ্চ কম হওয়ায় গাদাগাদি করে বসতে হয় পড়ুয়াদের। জানলার পাল্লা ভাঙাচোরা। জোরে বৃষ্টি হলে ছাঁট ভিতরে ঢোকে বলে অভিযোগ।

Advertisement

স্কুলের সহকারী শিক্ষক শিবশঙ্কর মণ্ডলের দাবি, ‘‘৮-১০ বছর ধরে এই পরিস্থিতি। ২০০৫ সাল থেকে সর্বশিক্ষা মিশনের কোনও আর্থিক সহযোগিতা পাইনি। ফলে স্কুলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা যাচ্ছে না।’’ তাঁর অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য একাধিক বার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও নিয়োগ না হওয়ায় প্রাক্তন ছাত্রেরা আংশিক সময়ের জন্য ক্লাস নিচ্ছেন। তাঁদের সামান্য সাম্মানিক শিক্ষকেরা নিজেরাই বহন করছেন।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরমেশ্বর মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুলের সমস্ত সমস্যার বিষয়ে প্রশাসন থেকে স্থানীয় মন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও অর্থ অনুমোদন না হওয়ায় সংস্কার করা যাচ্ছে না।’’

কাকদ্বীপ দক্ষিণ চক্রের স্কুল পরিদর্শক সৌমেন দত্ত বলেন, ‘‘স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি কী কী সমস্যা রয়েছে।’’ ছবি: দিলীপ নস্কর

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement