নিজস্ব চিত্র।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার আবহে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাড়ল মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। বিগত কয়েক দিন ধরে ওই জেলায় দৈনিক সংক্রমণ বা়ড়তে থাকায় রবিবার নতুন আরও সাতটি এলাকাকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের তালিকায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন।
মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের তালিকাভুক্ত নতুন এলাকাগুলিতে এ দিন থেকেই কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। পথচলতি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় নেমেছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘আগের মতোই মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় থাকা এলাকাগুলিতে আরও কড়া ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কোনও রকম জমায়েত করা চলবে না। ব্যাপক হারে কোভিড পরীক্ষা হবে। জেলার পুর-এলাকাগুলির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’’
এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আশা, এএনএম এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। সর্বত্রই চলবে মাস্ক বিতরণ। বিশেষ করে পর্যটনকেন্দ্র এবং জেটিঘাট ও স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় কড়া নজরদারি চলবে। মাস্ক ছাড়া প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাইক্রো এলাকায় লোকসমাগম ঠেকাতে স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে আলোচনা করে পদক্ষেপ করবে পুলিশ-প্রশাসন। পাশাপাশি আলিপুরে জেলা সদর এবং প্রত্যেক মহকুমাশাসকের দফতরে একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪০টির বেশি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছিল। কোভিডের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিষ্ণুপুর ২ ও গোসাবা ব্লকের সাতটি এলাকাকে এ বার মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা হয়েছে। ওই এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে গোসাবার রাঙাবেলিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের রানিপুর পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়া, গোসাবা ঘাট থেকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পর্যন্ত এলাকা এবং ছোট মোল্লাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হেঁতালবাড়ি দক্ষিণ। অন্য দিকে, বিষ্ণুপুর দু’নম্বর ব্লকের আমতলা বাজার এলাকা এবং কালীচরণপুর পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর সামন্তপাড়া, আদকপাড়া এবং উত্তর গোবিন্দপুর মুসলিম পাড়া। সব মিলিয়ে ওই জেলায় এখন ৫৬টি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে।