মুস্তানার আকস্মিক মৃত্যুর পর তাঁর জেঠিমার অভিযোগ, জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় তরুণীর। তার পর পারিবারিক অশান্তি ছিল মুস্তানার সংসারে। —প্রতীকী চিত্র।
এক ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বধূর রহস্যমৃত্যু ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম মুস্তানা খাতুন (১৭)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে ঘরের মধ্যে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় মুস্তানার দেহ। অন্তঃসত্ত্বা বধূকে খুনের অভিযোগ করেছেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘‘আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মঙ্গলবারই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, এই ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তও হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাকদ্বীপ থানা এলাকার ১১ নম্বর দক্ষিণপাড়া মল্লারচকে ওই বধূর বাড়ি। মুস্তানার আকস্মিক মৃত্যুর পর তাঁর জেঠিমার অভিযোগ, ‘‘ওকে জোর করেই বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল। আমাদের কানে এসেছে সে সব।’’ মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, পারিবারিক অশান্তির জেরে মুস্তানাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানাচ্ছে পুলিশ।