—ফাইল চিত্র।
অভিযুক্ত ৩২ জনকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাঝখানে কেটে গিয়েছে ২৬ বছর। এত দিনে একুশে জুলাই নিয়ে মামলা খারিজ করার আবেদন জমা পড়ল আদালতে।
২১ জুলাই, ১৯৯৩। তৎকালীন যুব কংগ্রেসের যে-মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল, ওই ৩২ জন সেই মামলায় অভিযুক্ত। তাঁদের কারও বাড়ি নদিয়ায়, কারও মুর্শিদাবাদে। ওই ৩২ জনের ঠিকঠাক ঠিকানা জানা নেই কারও। শুধু নাম রয়েছে। সেই নামও সত্য কি না, তা-ও অজানা। তাই ঘটনার পাঁচ বছর পরে পুলিশ যে-চার্জশিট দিয়েছিল, তার প্রতিলিপি তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া যায়নি। আইনের স্বাভাবিক নিয়মে হয়নি চার্জ গঠনও। শুরু হয়নি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। শুধু বছরের পর বছর দু’টি মামলায় বদলে গিয়েছে শুনানির দিন।
২০ জুলাই, শনিবার ফের শুনানির দিন পড়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে বিচারক অলিভা রায়ের এজলাসে। অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী অলোককুমার দাস মামলা খারিজ করে দেওয়ার লিখিত আবেদন জানিয়ে বলেছেন, এত দিনেও যখন ওই ৩২ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, আগামী দিনেও যাবে না।
অভিযুক্ত ৩২ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা ঝুলছে। তাঁদের কাছে নতুন করে পরোয়ানার প্রতিলিপি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২২ অক্টোবর।
পুলিশের গুলিতে ১৩ জন যুব কংগ্রেসকর্মী মারা যান। পুলিশ মোট ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, বিস্ফোরক ব্যবহার, অস্ত্র আইন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই ৪৩ জনের মধ্যে ১১ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। তাঁরা সেই সময়েই আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন নিয়ে নেন। এখনও তাঁরা জামিনেই রয়েছেন।