Crime

পিয়ালির চরে দুই মহিলার দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খুনের কিনারা

খোরপোশের টাকা নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২০ ১২:৪২
Share:

একই কায়দায় দুই মহিলাকে খুন। —ফাইল চিত্র।

কারা খুন করল দুই মহিলাকে তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিল কুলতলি থানার পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই জোড়া খুনের কিনারা করল তারা। ওই দুই মহিলা হলেন, মুস্তারি বিবি এবং আবিদা খাতুন।

Advertisement

শুক্রবার পিয়ালি নদীর চরে ১০০ মিটারের মধ্যে এই দু’জনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তার পর থেকেই খুনিদের সন্ধানে তাল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। পাশাপাশি দুই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টাও চলছিল। এই ঘটনায় শনিবার দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন, এসরাফিল মোল্লা ও মুসলিমা বিবি। তবে মূল অভিযুক্ত মিজানুর এখনও পলাতক।

পুলিশ জানিয়েছে, এসরাফিল মোল্লা ও মুসলিমা বিবি মূল অভিযুক্ত মিজানুরের বাবা-মা। মথুরাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা মুস্তারি বিবির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ক্যানিং থানার উত্তর বুধোখালির বাসিন্দা মিজানুর মণ্ডলের। স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁদের দু’জনের বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। খোরপোশের টাকা নিয়ে মুস্তারির সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা হতো মিজানুরের।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘শিক্ষায় টাকা দিতে হবে সরকারকেই’, অন্তর্বর্তী রায়ে স্বস্তি ঐশীদের

আরও পড়ুন: চিঁড়ে দিয়ে বাংলাদেশি ‘চিনলেন’ বিজয়বর্গীয়, শুরু বিতর্ক

পুলিশ আরও জানিয়েছে, মুস্তারি বিবি বাপের বাড়িতেই থাকতেন। গত ২৩ জানুয়ারি তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান মিজানুর। তুতো বোন আবিদাকে সঙ্গে নিয়ে মিজানুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুস্তারি বিবি। অভিযোগ, তখনই ওই দু’জনকে পরিকল্পনা করে পিয়ালি নদীর ধারে ডেকে নিয়ে যান মিজানুর ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। তার পরই তাঁদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। শুক্রবার সকালে দু’জনের ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন।

মহিলাদের পরিচয় এবং দুটি খুনের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা জানতে আশপাশের থানাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে কুলতলি থানার পুলিশ। কোনও থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে কি না তা নিয়েও যোগাযোগ করা হয় থানাগুলোর সঙ্গে। প্রথম দিকে তেমন কোনও সূত্র না মিললেও, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিহতদের ছবি ও পোশাক দেখে তাঁদের পরিবারের লোকেরা কুলতলি থানাতে যোগাযোগ করেন। মিজানুর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন মিজানুরের বাবা-মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিজানুরের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement