মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সনিয়া গাঁধী, এমকে স্ট্যালিন এবং উদ্ধব ঠাকরে। নিজস্ব চিত্র
২৮ জুলাইয়ের পরে ২০ অগস্ট। এক মাসের মধ্যে দু’বার কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারের বৈঠকে শুধু কংগ্রেস ও তৃণমূল নয়, মোট ১৯ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আর সেখানে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই বিরোধী জোটের প্রস্তুতির ইঙ্গিত মিলল। জানা গিয়েছে, ভার্চুয়াল বৈঠকে সনিয়া এখন থেকেই পদ্ধতিগত ভাবে জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘আমাদের সকলেরই নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু দেশের প্রয়োজনে এখন যে সময় এসেছে তাতে সকলকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জোটবদ্ধ হতে হবে।’’
শুক্রবারের বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে যেমন মমতা হাজির ছিলেন তেমনই ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। উপস্থিত ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। মোট ১৯ দলের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও যোগ দেয়নি মুলায়ম, অখিলেশ যাদবদের সমাজবাদী পার্টি।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা খুব তাড়াতাড়ি বিভিন্ন দলের নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক ডাকতে পারেন সনিয়া। তার আগে শুক্রবারের ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল সলতে পাকানোর। কী ভাবে বিজেপি-র বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ লড়াই করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সদ্য শেষ হওয়া বাদল অধিবেশনে বিরোধী দলগুলি যে ঐক্যের ছবি দেখিয়েছে তা আগামী দিনে সংসদের ভিতরে ও বাইরে কী ভাবে বজায় রাখা যায় তাও আলোচ্য ছিল।
২০২৪-এর ভোটের দিকে তাকিয়ে দেশের সব বিরোধী দলকে এক করার বার্তা সনিয়ার আগে একাধিকবার দিয়েছেন মমতা। গত জুলাইতে তিনি দিল্লি গিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথাও বলেন। সেই সময়ও মমতা জানিয়েছিলেন, এখন থেকেই বিজেপি বিরোধী জোটের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন দিল্লিতে। সেই সাক্ষাতের পরে মমতা বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি-কে হারাতে সবাইকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। আমি একা কিছু করতে পারব না। আমি লিডার নই, আমিও ক্যাডার। আমি স্ট্রিট ফাইটার। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে সকলকে।’’ তবে শুক্রবার সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি মমতা।