ফাইল চিত্র।
ক্ষমতায় আসার পরে দলে ঢুকে পড়া আবর্জনা ভাসিয়ে বার করে দিতেই নবজোয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগ যাত্রায় সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলায় শেষ দিনে তিনি বলেন, ‘‘জোয়ার যখন আসে তখন তা আবর্জনা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ২০১১-র পরে অনেক আবর্জনা আমাদের দলে ঢুকেছিল। যাদের জন্য মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। তাদের ভাসিয়ে দিতে হবে।’’
দলের বুথস্তরের সংগঠনকদের গুরুত্ব দিতে এ দিন বড়ঞায় সাংগঠনিক সভায় তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য বা জেলা নেতাদের মানুষ যত প্রশ্ন করে, বুথের সভাপতিদের তার বহুগুণ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে গিয়ে বসে থেকে একটা ত্রিপল না পেলে বুথ সভাপতিকে জবাব দিতে হয়। তাই তাঁদের সঙ্গেই সরাসরি যোগাযোগে নেমেছি। তাঁরাই ঠিক করবেন আগামিদিনে পঞ্চায়েত ভোটে কারা দলের প্রার্থী হবেন।’’ সেই সূত্রেই আবর্জনা সরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘এই আবর্জনা বার করে বাকিরা বুক ঠুকে দলের কাজ করবেন।’’ গত কয়েক দিনের সভা ও মতবিনিময়ের মতো এ দিনও পঞ্চায়েত ভোটে অন্তর্ঘাত নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘দল যাঁকে প্রার্থী করবে তাঁকেই সর্বশক্তি দিয়ে জেতাতে হবে।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রার্থী অপছন্দ হলে কেউ নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেললে তাঁদের কিন্তু ভোটের পরে দলে ফেরানো হবে না।’’ পুরভোটের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সে সময় নির্দল হয়ে যাঁরা জিতেছিলেন, তাঁদের জন্য কিন্তু দলের দরজা চিরদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।’’
মুর্শিদাবাদে সব ক’টি কর্মসূচিতেই নির্দিষ্ট ভাবে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন অভিষেক। এ দিনও তিনি বলেন, ‘‘এই জেলায় এ বার তিনটি লোকসভা আসনই তৃণমূল জিতবে।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর পরাজয়ও সময়ের অপেক্ষা বলে মন্তব্য করেন। অভিষেকের এই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে অধীর জানান, যাঁকে খুশি প্রার্থী করুক তৃণমূল।