প্রতীকী ছবি।
ঘটনার চার দিন পরেও অধরা খুনি। যদিও টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনে সিআইডি বুধবার রাতে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে। সুবোধ রায় নামের ওই ব্যক্তি খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবোধের দেখানো জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি মিনি কারবাইন। ধারণা করা যাচ্ছে, মণীশ খুনে ব্যবহৃত হয়েছিল ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি। তবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানায়নি তদন্তকারী সংস্থাটি।
সুবোধকে জেরা করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তিনটি মোটরবাইকও। সিআইডি-র দাবি, মণীশ খুনে ওই বাইকগুলিই ব্যবহার করেছিল খুনিরা। সুবোধই খুনিদের আশ্রয় দিয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। এ দিন ব্যারাকপুর আদালত সুবোধকে ১২ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। তবে খুনিরা রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছে বলেই ধারণা পুলিশের।
তিন জনকে পাকড়াও করার পরেও, মণীশ খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে সিআইডি সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি। তবে সিআইডি-র একটি সূত্রের দাবি, তদন্ত যত গড়াচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন হয়েছেন বিজেপির ওই বিতর্কিত নেতা।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুররম এবং অপর ধৃত গুলাব শেখকে জেরা করে সুবোধের কথা জানা যায়। ব্যারাকপুর সরকার বাগানের বাসিন্দা সুবোধ দোকানে-দোকানে বিভিন্ন জিনিসপত্র সরবরাহ করে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুররমই সুবোধের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং কয়েক জনের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলে।
সুবোধ কয়েকটি জায়গা দেখায় খুররমকে। তার মধ্যে দুটি জায়গা বেছে নেওয়া হয়। সবাইকে এক জায়গায় রাখা হয়নি। ওই দলে মোট পাঁচ জন ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন সিআইডি অফিসারেরা। খুনে ব্যবহৃত বাইকও জোগাড় করেছিল সুবোধ। কোথা থেকে, কী ভাবে তা সে জোগাড় করেছিল, তা জানার চেষ্টা করছে সিআইডি।
মণীশকে খুনের পিছনে খুররমের ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকলেও, সে একাই এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েছে, তেমন কোনও প্রমাণ এখনও তদন্তকারীদের হাতে আসেনি। তাঁদের ধারণা, আরও কোনও বড় মাথা এর পিছনে রয়েছে।
খুনিদের খোঁজে পুলিশের যে দল দুটি ভিন্ রাজ্যে গিয়েছে, তারাও এখনও কোনও সূত্র পায়নি বলে খবর। এখন ট্রেন বন্ধ। ফলে সড়ক পথ দিয়েই ঘাতকেরা অন্য রাজ্যে পালিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তারা বিভিন্ন রাজ্য এবং জাতীয় সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জোগাড় করে তা খতিয়ে দেখছে।