বিয়ের নিমন্ত্রণ এবং অভ্যর্থনা
সাধারণত বিয়ের নিমন্ত্রণ যায় পাড়া পড়শি, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, বা বড়জোর সহকর্মী বা পেশার সূত্রে পরিচিতদের কাছে। কিন্তু বিয়ের নিমন্ত্রণের তালিকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী? এমন অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী থাকল কেরল। নেপথ্যে বর-কনে রাহুল ও কার্তিকা।
রাহুল পেশায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজার কোয়েম্বাত্তুর, তামিলনাড়ু। কার্তিকা রয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তিতে, টেকনোপার্ক, কেরলের কর্মী। আমন্ত্রণ পত্রে তাঁরা লেখেন “আমরা (রাহুল এবং কার্তিকা) ১০ নভেম্বর বিয়ে করতে চলেছি। আমাদের দেশের প্রতি আপনাদের ভালবাসা, দৃঢ় সংকল্প এবং দেশপ্রেমের জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।”
ভাইরাল নিমন্ত্রণ পত্র
বিয়ের চিঠিতে তাঁরা আরও লেখেন, “আমাদের সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনাদের কাছে গভীর ভাবে ঋণী আমরা। আপনাদের কারণে আমরা শান্তিতে ঘুমোতে পারি। আমাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে সুখে দিন কাটানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের কারণেই আমরা সুখে-শান্তিতে বিয়ে করতে পারছি। আমাদের বিশেষ দিনে আপনাদের আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আপনাদের উপস্থিতি এবং আশীর্বাদ কামনা করছি। আমাদের রক্ষা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।”
সামরিক স্টেশনে অভিনন্দন
গত ১০ নভেম্বর বিয়ে করেন রাহুল ও কার্তিকা। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে থাকা হাতে লেখা এই চিঠি রীতিমতো ভাইরাল হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী ইনস্টাগ্রামে এটি শেয়ার করে। সঙ্গে ক্যাপশন, “শুভেচ্ছা’ #ইন্ডিয়ানআর্মি বিয়ের আমন্ত্রণের জন্য রাহুল এবং কার্তিকাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। দম্পতির সুখী বিবাহিত জীবনের জন্য শুভেচ্ছা রইল।”
নবদম্পতিকে প্যাঙ্গোড সামরিক স্টেশনে আমন্ত্রণ জানানো হয় বাহিনীর তরফে। তিরুঅনন্তপুরম থেকে আসেন উচ্ছ্বসিত যুগল। স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ললিত শর্মা যুগলকে সম্মান জানান। উপহারস্বরূপ তাঁদের একটি স্মারক দেওয়া হয়। স্টেশন কমান্ডার দেশ গঠনে নাগরিকদের এগিয়ে আসার ডাকও দেন ওই অনুষ্ঠানে। একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, এই আন্তরিক নিমন্ত্রণের গভীর প্রশংসা করছে সামরিক বাহিনী। সঙ্গে লেখা হয়, “উর্দিতে হোক অথবা উর্দি ছাড়া দেশের প্রতিটি নাগরিকের অবদান মূল্যবান। আর নাগরিকদের উপরেই সেনাবাহিনীর অস্তিত্ব নির্ভর করে।”
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।