বিভিন্ন রাজ্যের কনের সাজ
‘নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান’ – শুধু পোশাকেই নয়, এ দেশে রাজ্য ভেদে গয়না পরিধানেও রয়েছে বিপুল বৈচিত্র্য। সংস্কৃতি অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠানে গয়না পরার রীতিও বহুমুখী। যেমন ধরুন, বাঙালি কনেদের শাঁখা-পলা পরার চল রয়েছে, অন্য দিকে পঞ্জাবি কনেরা পরে থাকেন কলিরে নামক গয়না। আসুন দেখে নেওয়া যাক নানা রাজ্যের বিয়ের গয়নায় কতটা রকমফের।
বাঙালি ও পাঞ্জাবি কনে
বাঙালি: বাঙালি কনের সাজে বিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও সনাতনী বিয়ের সাজের এক অন্য গুরুত্ব রয়েছে এখনও। বেনারসি বা অন্য কোনও শাড়ির সঙ্গে বাহারি গয়নার সমাহার। গলায় সীতাহার, কানে মানতাসা, হাতে হাতপদ্ম নজর কাড়ে। সঙ্গে থাকে দু’গাছি শাঁখা-পলা।
পঞ্জাবি: বাঙালি কনের সাজের সঙ্গে আবার পঞ্জাবি বা শিখ পাত্রীর সাজের একেবারেই মিল নেই। ভারী কাজের লেহঙ্গা, সঙ্গে জমকালো রূপটান। আর থাকে চূড়া-সহ ছোট, বড় ভারী গয়না। পঞ্জাবি কনের সাজের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, চূড়ার সঙ্গে ঝুমকোর মতো দেখতে ঝালর। কলিরে নাম এই গয়নার।
তামিল ও মারাঠি কনে
তামিল: কাঞ্চিপুরম শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না – তামিল কনের সাজে এটিই মূল মন্ত্র। কানের দুল, কোমরবন্ধ, নেথি অর্থাৎ তামিল নথ থাকবেই। আর সঙ্গে মাথায় একরাশ ফুলের সাজ। এ ছাড়াও তামিল কনের সনাতনী বিয়ের সাজের অবিচ্ছেদ্য অলঙ্কার চওড়া মাথাপট্টি।
মরাঠি: তুলনামূলক ভাবে মরাঠি কনের সাজ খানিক অন্য রকম। মরাঠি কনে মানেই হাতে সবুজ চুড়ি, নাকে নথ, এবং গলায় ঠুশি।
রাজস্থানি ও কাশ্মীরি কনে
রাজস্থানি: বড় গোল নথ, কানে ঝোলা দুল, গলায় ভারী মিনাকারী হার আর মাথায় বোড়লা - রাজস্থানি কনের সাবেকি সাজ। এ ছাড়াও অন্যান্য হাল্কা গয়না পরে থাকেন তাঁরা।
কাশ্মীরি: ভারতের অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় কাশ্মীরি কনের সাজ একেবারেই আলাদা। ভারী রূপোর গয়না, সঙ্গে জমকালো রূপটান - এই হল কাশ্মীরি কন্যের বিয়ের সাজ। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অলঙ্কার হল ‘কালপুস’। বিয়ের সময় মাথায় কারুকাজ করা একটি কাপড়ের পট্টি বাঁধা থাকে, এটিই কালপুস নামে পরিচিত।
এই প্রতিবেদনটি 'সাত পাকে বাঁধা' ফিচারের অংশ।