প্রতীকী ছবি।
শহরে শীত প্রবেশ করে গিয়েছে। আর ক’দিন পরেই বিয়ের মরসুম। চলছে জোর কদমে প্রস্তুতিও। বিয়ের পোশাক থেকে খাদ্য তালিকা, প্রায় সব প্রস্তুতিই প্রায় শেষের পর্যায়ে। তবে রূপচর্চা, শরীরচর্চা বা সাজগোজের মধ্যে নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভুলে যাননি তো? বিয়ের আগে তো এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। একেই শীতের সময়, তার উপরে করোনার দাপট। আবহাওয়া বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরও খারাপ হওয়া বেশ স্বাভাবিক। তাই বিয়ের দিন যাতে জ্বর, সর্দি, কাশি আপনার দিনটিকে নষ্ট করতে না পারে তার জন্য এখন থেকেই সতর্ক থাকুন।
১. বিয়ের অন্তত এক মাস আগে থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। প্রয়োজনে প্রতি সপ্তাহে স্বাথ্য পরীক্ষা করান।
২. কী ভাবে জীবনযাপন করলে বা কী ওযুধ খেলে ঠাণ্ডা লাগা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন তার একটি তালিকা তৈরি করে নিন। এ ছাড়াও বিয়ের আগে জ্বর, সর্দি, কাশি হলে কী ভাবে চটজলদি সুস্থ হয়ে উঠবেন সেই বিষয়েও আগে থেকে জেনে রাখা ভাল।
৩. স্যানিটাইজেশনে আরও বেশি জোর দিন। পুজোর পরে ফের বেড়ে চলা করোনার দাপটে অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই, এই সময় সুস্থ থাকাটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের দিন যাতে সুস্থ শরীরে নিজের স্বপ্নের দিনটিকে উপভোগ করতে চান তা হলে বারবার ভাল করে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখুন। উষ্ণ গরম জল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ঘরে বা বাইরে, সব সময় স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৪. এ কথা সত্যি যে সঠিক পরিমাণ বিশ্রাম সব সময়েই মুখে একটি উজ্জ্বল ভাব এনে দেয়। এ ছাড়া শরীর সুস্থ রাখতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন। আবার বিশ্রাম বা ঘুম কোনওটাই অত্যধিক ভাল নয়। অত্যধিক বিশ্রাম বা ঘুম আপনাকে আরও বেশি অলস করে তুলতে পারে। বিয়ের আগে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমোলেই যথেষ্ট। তা ছাড়া যদি সারা দিন বিয়ের তোড়জোড়ের এত পরিশ্রমের পরে খুব ক্লান্ত লাগে, তা হলে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্রিন টি বা ভেষজ চা পান করে ঘুমোতে যান।
৫. খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন বাইরের ভাজাভুজি খাবার। ফুচকা, বার্গার, পিৎজা আপনাকে বিয়ের আগে অনেক বেশি অসুস্থ করে তুলতে পারে। এ সবের পরিবর্তে মেনে চলুন সঠিক খাদ্যাভ্যাস। আপনার খাবারে যাতে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি থাকে তা দেখে নেওয়া উচিত। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না।
বিয়ের দিনটি প্রত্যেকের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই জ্বর, কাশি, সর্দি কখনই যেন বিয়েতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। জীবানাভ্যাসে একটু পরিবর্তন আনলেই বিয়েতে মজা করতে পারবেন মন খুলে।