প্রতীকী ছবি।
মনে আছে আশা ভোঁসলের গাওয়া সেই গানের কলি? — ‘চোখে চোখে কথা বলো, মুখে কিছু বলো না...।’ সত্যিই তো, ভালবাসা আসলে চোখের খেলা। শুভদৃষ্টির সময়ে কাজল কালো চোখেই লুকিয়ে থাকে গহন ভালবাসা। প্রথম দৃষ্টিতেই হবু বরের মন জয়ের ঐকান্তিক চেষ্টার শুরু কিন্তু চোখেই। তাই রূপটান বা পোশাকের পাশাপাশি চোখের সাজের দিকে নজর তো দিতেই হবে।
সেই চোখের ভাষাকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য আপনাদের জন্য রইল বেশ কয়েকটি পরামর্শ । এই পরামর্শগুলি অনুসরণ করুন এবং বিয়ের দিন হয়ে উঠুন অনন্যা, অপরূপা।
ভ্রু দিয়ে হোক সাজের শুরু
কপাল থেকে শুরু করে চোখের পরত, এর মাঝেই রয়েছে ভ্রু জো়ড়া। চোখের রূপটান অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিয়ের সাজে ভ্রু হবে নিখুঁত ও সুন্দর। সাজের প্রথমেই তাই ভ্রুর পরিচর্যা করে ফেলুন নিখুঁত করে এবং চুলের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইব্রো পেন্সিল ব্যবহার করে ভ্রুর রং করুন।
শিমারের সঙ্গে চোখ হোক উজ্জ্বল
চোখকে আকর্ষণীয় করে তুলতে অবশ্যই ব্যবহার করুন শিমার। শিমার যুক্ত আইশ্যাডো বা হাইলাইটার লাগিয়ে নিন চোখের কোণে। দারুন দেখতে লাগবে। তবে হ্যাঁ, অত্যধিক শিমার ব্যবহার করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
চোখের নীচের পাতার কথা ভুলবেন না যেন!
রূপটানে চোখের নীচের অংশও কিন্তু সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। চোখকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে চোখের নীচের পাতাতেও মাস্কারা লাগাতে পারেন। ফুটে উঠবে আলাদা সৌন্দর্য ।
আইলাইনারের শেড ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
কী রঙের আইলাইনার ব্যবহার করবেন তা আগে ভাগে দেখে নিন। গ্লিটারি আইলাইনারের বদলে, ন্যুড বা হাল্কা শেডের আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। এতে চোখ অনেকটা বড় দেখাবে।
চোখের পাতাকে কার্ল করুন
চোখের পাতা পাতলা দেখাচ্ছে? চিন্তা নেই। চোখের পাতাকে ঘন দেখানোর জন্য কার্ল করে নিতে পারেন। অবশ্যই মাস্কারা লাগানোর আগে কার্ল করবেন। এতে চোখ বড় লাগবে ও সৌন্দর্য বাড়বে।
শেষ বেলায় কাজলের ছোঁয়া
চোখের সৌন্দর্য চর্চার শেষ ছোঁয়া কিন্তু কাজলে। এই কাজলেই লুকিয়ে আছে আসল রহস্য। কাজলের সঙ্গে আইলাইনার বা আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। যে কোনও মানুষের নজর কাড়বে আপনার কাজল কালো চোখ।
যত্ন নিন ডার্ক সার্কলের
এমনিতে সারা বছরই ডার্ক সার্কেলের জন্য যত্ন নেওয়া উচিত। বিয়ের দিন যাতে আপনার চোখের তলায় ডার্ক সার্কেল না দেখা যায়, তার জন্য ক্রিম জাতীয় কারেক্টর ব্যবহার করুন। চোখের চারপাশের কালো ভাব চলে গেলে চোখও বড় দেখাবে।