মেয়েদের যন্ত্রণার চারটি দিনের কথা অনেক কম বয়সেই জেনে গিয়েছিলেন, জানিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম প্রভাবী। প্রতীকী ছবি।
মেয়েদের ঋতুস্রাব নিয়ে খোলামেলা এবং নারী-পুরুষের আলোচনাকে এখনও বাঁকা নজরে দেখা হয় সমাজের বিভিন্ন স্তরে। কিন্তু ১৯ বছরের এক তরুণ একটু অন্য রকম গল্প শোনালেন। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়োয় ওই তরুণ বলেছেন, মেয়েদের যন্ত্রণার চারটি দিনের কথা অনেক কম বয়সেই জেনে গিয়েছিলেন তাঁরা। ১৩ বছর বয়সে তাঁদের বাবা তাঁদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
অনীশ ভগৎ নামে ওই তরুণ জানিয়েছেন, তাঁরা তিন ভাই। বাবা তাঁদের মেয়েদের ঋতুস্রাবের কথা জানিয়েছিলেন, যাতে মায়ের কখনও যত্নের কোনও অভাব না হয়। অনীশ বলেছেন, ‘‘আসলে বাবা চেয়েছিলেন, ওই অস্বস্তি বা যন্ত্রণার দিনগুলিতে যাতে মুখ বুজে ব্যথা সহ্য না করতে হয় মাকে, বা আমরা ভাইয়েরা যাতে না বুঝে কোনও কায়িক শ্রমের কাজ মায়ের উপর চাপিয়ে না দিই।’’
অনীশ জানিয়েছেন, তার পর থেকে এপর্যন্ত তাঁদের মাকে কখনও ঋতুস্রাবের সময়ে নিজেকে কিনতে হয়নি স্যানিটারি ন্যাপকিন। তাঁরা তিন ভাই একাদিক্রমে এই দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। এর জন্য একটি গ্রুপও আছে তাঁদের। নাম ‘ভগৎ মেন’। অনীশ জানিয়েছেন, ওই ক’টা দিন মায়ের কাজ কমিয়ে তাঁর যত্ন নেওয়ারও চেষ্টা করেন তাঁরা। ঋতুকালে মায়ের হাতের কাছে খাবারও এগিয়ে দেন তাঁরা। রাখেন ‘রানির হালে’।
অনীশের ভিডিয়োটি পোস্ট হওয়ার পর থেকে ২০ লক্ষ বার দেখা হয়ে গিয়েছে। নেটাগরিকরা প্রশংসাও করেছেন ‘ভগৎ মেন’দের।