—প্রতীকী ছবি।
জামাইবাবুর ঔরসে জন্ম হয়নি বোনঝির। সে দিদির অন্য সম্পর্কের ফল। সন্দেহ করে সেই বোনঝিরই ডিএনএ পরীক্ষা করালেন তার মাসি। এমনই এক খবরে সমাজমাধ্যমে হইচই পড়েছে। ঘটনাটি সমাজমাধ্যম রেডিটে পোস্ট করেছেন এক ব্যবহারকারী। মার্কোস নামে ওই ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, বছর ছয়েক আগে সোফিয়া নামে এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। দু’বছর আগে কন্যা এমার জন্ম হয়। কিন্তু এমা তাঁদের মেয়ে নয় বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ করছিলেন তাঁর শ্যালিকা লরা। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে লরা বোনঝির ডিএনএ পরীক্ষাও করান বলে জানিয়েছেন মার্কোস।
মার্কোস জানিয়েছেন, সোফিয়ার বোন লরা শুরু থেকেই সন্দেহপ্রবণ ছিলেন। বিশ্বাস করতেন, সোফিয়া অন্য কোনও সম্পর্কে রয়েছেন এবং সেই সম্পর্ক থেকেই এমার জন্ম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সোফিয়ার প্রতি লরার অবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। মার্কোস রেডিটে লিখেছেন, “আমাদের বিয়ের সময় লরা আমাকেও সন্দেহ করত। সোফিয়াকে বিয়ের আগে চুক্তি করতে উৎসাহিত করে। আমার স্ত্রীকে প্রায়ই সতর্ক করত। লরার দাবি ছিল, আমি ওর দিদিকে ঠকাতে পারি। কিন্তু যখন এমার জন্ম হয়, তখন ওর সন্দেহ গিয়ে পড়ে নিজের দিদির উপরেই। ও বার বার দাবি করত যে, এমার সঙ্গে আমাদের পরিবারের কারও মিল নেই।’’
মার্কোসের দাবি, এমার চোখের মণির রং সবুজ এবং চুলের রং হালকা বাদামি। অন্য দিকে, সোফিয়া এবং মার্কোসের চোখের মণি এবং চুলের রং আলাদা। এর পরেই লরা সন্দেহ করেন যে, মার্কোসের সন্তান হতে পারে না এমা। দিদি সোফিয়া অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার এমার জন্ম হয়েছে বলেও দাবি করতেন। তবে সন্দেহের বশে সম্প্রতি সব সীমা নাকি অতিক্রম করে ফেলেন লরা। গত সপ্তাহে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে লরা একটি ডিএনএ পরীক্ষার কিট এনে সোফিয়াকে দেন। এমার ডিএনএ পরীক্ষা করতে বলেন। মার্কোস প্রথমে হতবাক হয়ে গেলেও পরে সামলে নেন। কিন্তু রেগে যান সোফিয়া। বোনকে অপমান করেন এবং লরার সন্দেহ দূর করার জন্য পরীক্ষাটি করার সিদ্ধান্ত নেন। এমার নমুনা সংগ্রহ করেন লরা। ফলাফলে উঠে আসে যে, লরার সন্দেহ ভিত্তিহীন ছিল। মার্কোস এবং সোফিয়ারই কন্যা এমা।
সেই কাহিনিই সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন মার্কোস। মার্কোসের সেই পোস্ট দেখে হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে মজা করতে ছাড়েননি নেটাগরিকদের একাংশ। অনেকে আবার সুখী দাম্পত্যে সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের জন্ম দেওয়ার জন্য লরার নিন্দায় সরব হয়েছেন।