ছবি: সংগৃহীত।
বিমানবন্দরে নগ্ন হয়ে চিৎকার। বিমানবন্দরের কর্মীদের উপর হামলা। কাউকে কামড়ে দিলেন, কারও উপর হামলা চালালেন পেনসিল দিয়ে। এক মহিলার এ-হেন কাণ্ডে হইচই আমেরিকার টেক্সাসের ডালাস ফোর্থ ওর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ মার্চ। কিন্তু সেই ঘটনার ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। সমাজমাধ্যমে হইচই ফেলেছে ভিডিয়োটি।
সংবাদমাধ্যম ‘টিএমজেড’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৪ মার্চ সকালে ডালাস ফোর্থ ওর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢুকে হঠাৎ করেই পোশাক খুলে ফেলেন সামান্থা পালমা নামে ওই যুবতী। তাঁকে দেখে থ’ হয়ে যান অন্য যাত্রীরা। কিন্তু সে দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে চিৎকার শুরু করেন সামান্থা। নিজেকে প্রেম এবং সৌন্দর্যের দেবী ভেনাস বলে পরিচয় দিতে থাকেন। তবে শুধু সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি।
অভিযোগ, বিমানবন্দরে থাকা একটি টেলিভিশন ভেঙে দেন সামান্থা। অন্য যাত্রীদের গায়ে জল ছুড়তে থাকেন বোতল থেকে। যাঁরা তাঁর সেই অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা ক্যামেরাবন্দি করছিলেন, তাঁদের দেখিয়ে অদ্ভুত ভাবে নাচতেও থাকেন। এর পর বিমানবন্দরের কর্মীরা সামান্থাকে আটকাতে গেলে তিনি দু’জনের উপর চড়াও হন। অভিযোগ, দু’জন কর্মীর গায়ে পেনসিল গেঁথে দেন সামান্থা। বিমানবন্দরের একটি রেস্তরাঁর ম্যানেজারকে কামড়েও দেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামান্থাকে এর পর ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। টার্মিনাল ডি-এর গেট ডি-১-এ একটি আপৎকালীন দরজার আড়ালে লুকিয়ে পড়েন তিনি। পরে সেখান থেকেই তাঁকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সামান্থা জানিয়েছেন যে, তিনি সে দিন তাঁর ওষুধ খেতে ভুলে গিয়েছিলেন এবং সে কারণেই তিনি ও রকম আচরণ করেছিলেন। তিনি তাঁর ৮ বছর বয়সি মেয়ের সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন। যদিও তিনি কিসের ওষুধ খেতেন, তা পুলিশ নির্দিষ্ট ভাবে জানায়নি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামান্থার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর কর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষাও হয়েছে তাঁর।