প্রতীকী চিত্র।
স্বামীকে খুশি করতে ‘সুন্দরী’ এবং ‘শিক্ষিতা’ সেবিকা ভাড়া করলেন স্বামী। গ্যারান্টি দিলেন আর তাঁদের মধ্যে ঝগড়া-মনোমালিন্য হবে না।
৪৪ বছর বয়সী পত্থিমা চমনন ব্যাঙ্ককের বাসিন্দা। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী ও তাঁর বিছানা আলাদা। নানা কারণে তাঁদের ঝামেলা হত। তার পর তিনি স্বামীর জন্য এক জন শিক্ষিতা ও সুন্দরী সেবিকা চেয়ে বিজ্ঞাপন দেন। বেতন ৩৩,৮০০ টাকা। যোগ্যতা— ন্যূনতম কলেজ পাশের শংসাপত্র থাকতে হবে। একটি ভিডিয়োয় তিনি বলেন, ‘‘স্বামীর জন্য তিন জন সেবিকা রাখতে চাই। তাঁরা মাসে ৩৩,৮০০ টাকা করে বেতন পাবেন। খাবার-দাবারের বন্দোবস্ত আছে।’’ তবে দু’জন সেবিকা থাকবেন চমননকে অফিসের কাজে সাহায্য করতে এবং অন্য জন কেবল তাঁর স্বামীর দেখভাল করবেন। ভিডিয়োবার্তার শেষভাগে তাঁর সংযোজন, ‘‘আমার স্বামী প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। একা একা কাজ করেছেন। এখন আমি তাকে সুখী দেখতে চাই।’’
এই কাজে আগ্রহীদের জন্য বেশ কিছু শর্তও জানিয়ে রেখেছেন মহিলা। জানিয়েছেন, এই চাকরিতে ইচ্ছুকদের কোনও সন্তান থাকা চলবে না। তাঁদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্বভাবের হতে হবে। ভাল কথাবার্তা বলতে জানতে হবে। এবং সর্বোপরি তাঁর স্বামীকে ‘সন্তুষ্ট’ করতে হবে।স্বামীর জন্য কেন এমন বিজ্ঞাপন? মহিলা জানাচ্ছেন, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। নিজের অসুখের জন্য স্বামীকে সময় দিতে পারেন না। স্বামীকে ভাল রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং তিনি বিশ্বাস করেন এতে তাঁদের দাম্পত্য কলহ কমবে।
অন্য দিকে, স্ত্রীর এমন বিজ্ঞাপন নেটমাধ্যমে প্রচার হতে দেখে অবাক হয়েছেন স্বামী। তাঁর কথায়, ‘‘পরে স্ত্রীর কাছে জানতে পারি ও এমন এক জনকে খুঁজছে যিনি আমার খেয়াল রাখবেন। পরিবারের সদস্যের মতো থাকবেন এবং আমাদের সংস্থায় কাজও করবেন।’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘কখনও নিজের জন্য ‘সেবিকা’ রাখার কথা ভাবিনি। এখন স্ত্রী যখন রাখতে চাইছে, না-ও করিনি।’’