—প্রতীকী ছবি।
পরিবারের সকলে দিন গুজরান করেন ভিক্ষা করে। সকাল হলেই ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। দেখে মনে হবে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। আর সেই ভিক্ষুক পরিবারেরই আয়োজিত বাড়ির অনুষ্ঠানে খরচের বহর দেখে লজ্জা পাবেন অনেক কোটিপতি! পাকিস্তানের গুজরানওয়ালার এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দিদিমার ৪০তম মৃত্যু দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের ওই ভিক্ষুক পরিবার ২০ হাজার লোক খাইয়ে খরচ করেছে সওয়া কোটি পাকিস্তানি রুপি (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা)! শুধু তা-ই নয়, জমকালো সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে দু’হাজার গাড়ির বন্দোবস্তও করা হয়েছিল ওই পরিবারের তরফে। সেই ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। সমাজমাধ্যমে বিতর্কও তৈরি হয়েছে (ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
বিভিন্ন পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুজরানওয়ালার রাহওয়ালি রেলস্টেশনের কাছে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ভোজের ব্যবস্থাও ছিল এলাহি। দুপুরের খাবারে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী খাবার সিরি পায়ে, মোরব্বা এবং মাংসের বিভিন্ন সুস্বাদু পদ ছিল। নৈশভোজেও ছিল বাহারি খাবারের আয়োজন। বিশাল সেই জনসমাগমের জন্য মোট ২৫০টি খাসি কাটা হয়েছিল বলে খবর।
সেই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিয়োটি নিয়ে হইচইও পড়েছে। ভিক্ষুক পরিবারের এমন বিলাসবহুল ভোজের আয়োজন নিয়ে হাসির রোল উঠেছে। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন ওই পরিবারের আয়ের উৎস নিয়ে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘এটি সত্যি যে পাকিস্তানে যদি কেউ ভিক্ষা চাওয়ার কায়দা শিখে নেয়, তা হলে তাঁকে কোনও দিন না খেয়ে মরতে হবে না।’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তান ভিক্ষুকদের দেশ। কিন্তু এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা কি ভিক্ষুক পরিবারের পক্ষে সম্ভব?’’