ছবি: সংগৃহীত।
সম্পর্কে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ ঘটেছে তা বহু দিন ধরেই টের পাচ্ছিলেন তরুণী। কিন্তু কোনও প্রমাণ পাচ্ছিলেন না। দিনের পর দিন মনের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধছিল। স্বামী পুলিশে চাকরি করেন। সেই পুলিশের ‘চুরি’ই ধরা পড়ল তাঁর স্ত্রীর হাতে। সহকর্মীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তরুণীর স্বামী। হাতেনাতে ধরবেন বলে সোজা পুলিশের আবাসনের সেই তরুণীর বাড়ির সামনে পৌঁছে যান তরুণী। ঘর থেকে স্বামী এবং তাঁর বান্ধবীকে বার করে মারধর করতে শুরু করেন তরুণী। সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর জেলায় ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, মহিলা ইনস্পেক্টরের সঙ্গে তরুণ পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, তিনি একা থাকতেন। কাজের পর অধিকাংশ সময় ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন তরুণ। সন্দেহ হওয়ায় পরিবারের কয়েক জনকে নিয়ে স্বামীকে অনুসরণ করতে শুরু করেন তরুণী। স্বামীকে তাঁর সহকর্মী পুলিশ ইনস্পেক্টরের সঙ্গে দেখে রেগে আগুন হয়ে যান তরুণী। হাতেনাতে প্রমাণ করবেন বলে তাঁর পুত্রকেও সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন তরুণী। ভিডিয়োয় দেখা যায়, তরুণী তাঁর স্বামী এবং স্বামীর প্রেমিকাকে মারধর করছেন। রাস্তায় ভিড় করেছেন আরও লোকজন। এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে যদিও এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি।