—প্রতীকী ছবি।
বয়স মাত্র ১১ মাস। এক বছর দু’মাস ধরে কোনও খোঁজখবর ছিল না সেই শিশুর। ১৪ মাস ধরে তল্লাশির পর অবশেষে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কিন্তু অপহরণকারীকে কিছুতেই ছেড়ে যেতে রাজি হচ্ছিল না একরত্তি। মায়ের কোলে যাওয়ার পরেও কেঁদে ভাসিয়ে দিল সে। ঘটনাটি বুধবার উত্তরপ্রদেশের খাদার এলাকায় ঘটেছে। অভিযুক্তের নাম তনুজ চাহার।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের আগরার বাসিন্দা তনুজ। পেশায় পুলিশকর্মী তিনি। কিন্তু তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে। তার পর থেকে সাধুর বেশে যমুনার ধারে একটি কুঁড়েঘরে থাকতে শুরু করেন তিনি। পরিচয় গোপন রাখতে চুল-দাড়ি বড় রাখতে শুরু করেন তনুজ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানায়, পুনম পাণ্ডে নামে এক মহিলা এবং তাঁর ১১ মাসের পুত্রকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে চাইছিলেন তনুজ। কিন্তু তাঁর প্রস্তাবে রাজি হননি পুনম। তাই পুনমের পুত্রকে অপহরণ করেন তিনি।
পুলিশের দাবি, ১৪ মাস ধরে পুনমের পুত্রকে লুকিয়ে রেখেছিলেন অভিযুক্ত। সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করে ভুয়ো পরিচয় নিয়ে থাকতেন তিনি। পুনমের পুত্রকে নিজের পুত্র হিসাবে পরিচয় দিতেন অভিযুক্ত। তল্লাশি চালানোর পর শেষ পর্যন্ত তনুজের খোঁজ পায় পুলিশ। পুলিশকর্মীরাও সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করে তনুজের কুঁড়েঘরের কাছাকাছি থাকতে শুরু করেন। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তনুজ আসলে পুনমের দূরসম্পর্কের আত্মীয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তনুজকে গ্রেফতার করতে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। আট কিলোমিটার পথ শিশুটিকে কোলে নিয়ে ছুটেছিলেন তনুজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তবে পুলিশ জানায়, গ্রেফতারির পর কিছুতেই তনুজের কাছ থেকে দূরে যেতে চাইছিল না পুনমের সন্তান। মায়ের কোলে যাওয়ার পরেও কান্নাকাটি করে ভাসিয়ে দিয়েছিল সে। জল ছিল অভিযুক্তের চোখের কোণেও।