ছবি: শাটারস্টক।
স্কুলে শিক্ষক দিবস উদ্যাপন করা হবে বলে অভিভাবকদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছিল দুই কিশোর। কিন্তু স্কুলের অনুষ্ঠানের পর আর বাড়ি ফিরল না তারা। স্কুলের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে সোজা রেলস্টেশনে চলে যায় দু’জনে। দু’দিন নিরুদ্দেশ থাকার পর তাদের সন্ধান পায় পুলিশ। নয়ডার সেক্টর ৫৬ এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর ১৩ এবং ১৪ বছর বয়সি দুই কিশোরকে আনন্দবিহার রেলস্টেশন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই কিশোরই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ক্লাসে পরীক্ষা নেওয়ার পর ফলাফল জানানো হয় তাদের। দু’জনেই সেই পরীক্ষায় কম নম্বর পায়। স্কুলের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয় তার পর। দুই কিশোর ভাবে, পরীক্ষায় যে তারা ভাল নম্বর পায়নি সেই কথা বাড়ির লোকেরা জানতে পারলে বকুনি খেতে হবে। সেই ভয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বৃহস্পতিবার স্কুলে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
সকালে পৌনে ১১টায় সেই অনুষ্ঠান শেষ হয়। স্কুলের সদর দরজায় সামনে অপেক্ষা করছিলেন দুই কিশোরের অভিভাবক। কিন্তু স্কুল ছুটির ১৫ মিনিট পর স্কুলের পিছনের দরজা দিয়ে দু’জনেই পালিয়ে যায়। অটোয় চেপে আনন্দবিহার রেলস্টেশনে যায় তারা। পুলিশের দাবি, শিক্ষক দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাড়ি থেকে দু’জনেই ৫০ টাকা নিয়ে এসেছিল। সেই টাকা খরচ করে অটোর ভাড়া মেটায় তারা।
এক পড়ুয়ার কাকা জানান, ছুটি হয়ে যাওয়ার পরেও কেউ স্কুল থেকে বেরোচ্ছিল না দেখে পুলিশের কাছে যান দুই পরিবারের সদস্যেরা। দুই কিশোর নিখোঁজ হয়েছে শুনে বিশেষ দল গঠন করে তদন্তে নামে দিল্লি, নয়ডা এবং গাজ়িয়াবাদ পুলিশ। দু’দিন ধরে এলাকার বাসস্টপ, পেট্রল পাম্প, দোকান এবং রাস্তাঘাটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুই কিশোরের সন্ধান পায় তারা। শেষ পর্যন্ত আনন্দবিহার রেলস্টেশনের সিঁড়িতে বসে থাকতে দেখা যায় তাদের।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাড়ি গিয়ে যদি পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার জন্য বকুনি খেতে হয়, সেই ভয়ে বাড়িই যেতে চাইছিল না দুই কিশোর। পরে তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। দুই পরিবারের সদস্যদেরও পুলিশ অনুরোধ করে যে, তাদের যেন বকাবকি না করা হয়।