—প্রতীকী ছবি।
বাইরে থেকে এসে বাড়িতে ঢুকতে যাচ্ছিলেন প্রৌঢ় দম্পতি। রাস্তায় দেখা হয়ে যায় তাঁদের পুত্রের সঙ্গে। হঠাৎ বাইক থেকে নেমে জুতো খুলে নিয়ে বাবা-মাকে বেধড়ক মারতে শুরু করেন ওই তরুণ। সেই সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনে ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন। কবে এই ঘটনাটি ঘটেছে সে বিষয়ে জানা না গেলেও সমাজমাধ্যমে ভিডিয়োটি (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) ছড়িয়ে পড়তেই তা নজর কাড়ে পুলিশের। তরুণের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁর বাবা-মা।
ঘটনাটি কাশ্মীরের শ্রীনগরের নওগাঁও এলাকায় ঘটেছে। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ আশরফ ওয়ানি। অভিযুক্তের বাবা এবং মায়ের নাম যথাক্রমে গুলাম আহমেদ ওয়ানি এবং তাজা বেগম। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তায় বাইক দাঁড় করিয়ে জুতো খুলে গুলাম এবং তাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন আশরফ। জুতো দিয়ে দু’জনকে রাস্তার মধ্যে বেধড়ক মারতে শুরু করেন তিনি। প্রথমে তাজাকে জুতো দিয়ে মারছিলেন তিনি।
স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে যান গুলাম। তাঁকেও মারতে শুরু করেন আশরাফ। পুত্রকে বাধা দিয়ে অন্য দিকে সরিয়ে নিয়ে যান গুলাম। ধাক্কাধাক্কির সময় আশরফের পরনের শার্ট ছিঁড়ে যায়। রাস্তায় ফেলে বাবা-মাকে কিল, চড় মারতে থাকেন আশরাফ। অশান্তি থামাতে এক জন এগিয়ে আসেন এবং আশরাফকে দূরে সরিয়ে দেন। আশরফের বাবা গুলাম হেনস্থার শিকার হয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাজা মাথায় চাপড় মেরে কান্নাকাটি শুরু করেন।
রাস্তায় ফেলে দেওয়া জুতো তুলে আশরাফ সেখান থেকে চলে যাওয়ার উপক্রম করলেও আবার ফিরে আসেন তিনি। পুরো ঘটনাটি যিনি মোবাইল ফোনে বন্দি করছিলেন, তাঁর দিকে রেগেমেগে হেঁটে যেতে দেখা যায় তাঁকে। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নজর কাড়ে শ্রীনগর পুলিশের।
শনিবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে শ্রীনগর পুলিশের তরফে জানানো হয় যে, গুলাম এবং তাজা দু’জনেই তাঁদের পুত্র আশরফের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।