ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
পাঁচ দিন পর বাড়ি ফিরলেন বলি অভিনেতা সইফ আলি খান। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। ছাড়া পাওয়ার পর ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় ধরা পড়লেন অভিনেতা। তাঁর পরনে ডেনিম জিন্স, বুকখোলা সাদা শার্ট। চোখে রোদচশমা। ছোট করে ছাঁটা চুল। পরিষ্কার কামানো দাড়ি। হাত এবং গলায় ব্যান্ডেজ লাগানো রয়েছে তাঁর। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
‘ফিল্মিজ্ঞান’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে যে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সইফ। ছবিশিকারিদের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে হাত নাড়ছেন তিনি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে ফিরে যাবেন না সইফ। বরং সেখান থেকে খানিক দূরে আর এক আবাসনে যাবেন তিনি। কিন্তু তিনি ফিরলেন সৎগুরু শরণেই। মঙ্গলবার বেলা ১১টার কিছু পরেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। তার পর সেখানে গিয়েছিলেন সইফের স্ত্রী করিনা কপূর খান। দুপুর ২টোর পর সইফকে দেখা গিয়েছিল মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের বাইরে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অভিনেতাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যেরা।
সোমবারই চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, শারীরিক পরিস্থিতি বিচার করে অভিনেতাকে মঙ্গলবার ছুটি দেওয়া হতে পারে। আপাতত বাড়িতেও কড়া নজরদারিতে থাকতে হবে তাঁকে। মেনে চলতে হবে চিকিৎসকদের পরামর্শ। আগামী দু’তিন দিন শুয়েই থাকতে হবে অভিনেতাকে। এক সপ্তাহ কোনও ভাবেই বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। কারণ, এখনও তাঁর জখম পুরোপুরি শুকোয়নি।
বুধবার গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকার অভিজাত আবাসন ‘সৎগুরু শরণ’-এর দ্বাদশ তলে সইফ এবং করিনার ফ্ল্যাটে হানা দেয় এক দুষ্কৃতী। রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ ওই ব্যক্তিকে করিনার ছোট ছেলে জেহ্র ঘরের সামনে দেখতে পান তার দেখভালে নিযুক্ত এক মহিলা কর্মী। তাঁর চিৎকারেই ছুটে আসেন আর এক মহিলা কর্মী এবং স্বয়ং সইফ। এর পরেই শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ, সেই সময়ই ধারালো ছুরি নিয়ে অভিনেতার উপর চড়াও হন ওই ব্যক্তি। এলোপাথাড়ি কোপে প্রায় ছ’টি আঘাত লাগে সইফের। সামান্য জখম হন এক মহিলাকর্মীও।
তার পর সইফ নিজেই একটি অটোরিকশা ভাড়া করে চলে যান ২ কিলোমিটার দূরে লীলাবতী হাসপাতালে। তখনও তাঁর পিঠে, মেরুদণ্ডের কাছে গেঁথে রয়েছে ছুরির আড়াই ইঞ্চি ভাঙা ফলা। সে দিনই সকালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা জানান, বিপন্মুক্ত সইফ। হাতে, ঘাড়ে, পিঠে প্রায় ছ’টি জখমের মধ্যে দু’টি গুরুতর ছিল বলেও জানা যায়। মুম্বইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা চলার পর পাঁচ দিন পর ছাড়া পান সইফ।