—প্রতীকী ছবি।
চাকরি ছাড়বেন কি না তা নিয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তরুণী। ইস্তফাপত্র লিখেও ইমেল-এ ‘ড্রাফ্ট’ করে জমিয়ে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। ন’টি বিড়াল নিয়ে সংসার তাঁর। চাকরি ছেড়ে দিলে কী ভাবে সংসারের খরচ টানবেন এবং কত টাকা সঞ্চয় করে রেখেছিলেন— এ সব নিয়ে হিসাব করতে ব্যস্ত ছিলেন তরুণী। কিন্তু তর সইল না তাঁর পোষ্যের। ল্যাপটপের উপর গিয়ে বসে পড়ল সে। ল্যাপটপের কিবোর্ডে ‘এন্টার’ বোতামে থাবাও বসিয়ে দিল বিড়ালটি। সঙ্গে সঙ্গে তরুণীর বসের কাছে ইস্তফাপত্র মেল করে পাঠিয়ে দিল পোষ্য। বিড়ালের কাণ্ড দেখে মাথায় হাত তরুণীর। যত ক্ষণে বস্কে ফোন করে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করবেন, তত ক্ষণে তরুণী ইস্তফাপত্র গ্রহণও করে ফেলেছেন তাঁর বস্।
ঘটনাটি দক্ষিণপশ্চিম চিনের শংকিং এলাকায় ঘটেছে। ২৫ বছরের তরুণী সেখানকার বাসিন্দা। বহু দিন ধরে একই সংস্থায় চাকরি করছেন তিনি। কিন্তু সেই চাকরি আর করবেন না বলেও ভাবনাচিন্তা চলছিল তাঁর মনে। ইস্তফাপত্রও লিখে ফেলেছিলেন। কিন্তু সেই চিঠি মেলবক্সে ড্রাফ্ট করে রাখা ছিল। এন্টার বাটন-এ চাপ দেওয়ার আগে মাথায় একরাশ চিন্তা ঘনিয়ে এসেছিল তাঁর। ন’টি বিড়াল পোষেন তিনি। সংসারের খরচ কী ভাবে চলবে, পোষ্যদের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন কী করে— নানা ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল তরুণীর মনে। ল্যাপটপ খোলা রেখেই ঘরে পায়চারি করছিলেন তিনি।
সেই সুযোগ নিয়ে ফেলল তাঁর এক পোষ্য। ল্যাপটপ খোলা অবস্থায় দেখে তার উপর উঠে বসল বিড়ালটি। তার পর এন্টার বাটন-এ থাবা বসিয়ে দিল সে। সঙ্গে সঙ্গে তরুণীর বসের কাছে পৌঁছে গেল তরুণীর ইস্তফাপত্র। সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণও করে ফেলেন বস্। তরুণী যখন বিষয়টি খেয়াল করলেন, তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তরুণীর বিড়াল যে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে, তা আর বোঝানোর অবকাশ ছিল না তরুণীর। বর্তমানে তরুণী চাকরিহারা। ন’টি বিড়াল নিয়ে ঘরে বসে এখন বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য আবেদন জানাচ্ছেন তিনি।