আমিষ পদ না থাকায় বিয়েবাড়িতে অশান্তি। —ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ে করতে গিয়ে কনেপক্ষের সঙ্গে বরপক্ষের অশান্তি। কথা কাটাকাটি দিয়ে ঝামেলা শুরু হয়ে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। হবু বর এবং বরযাত্রী মিলে কনেপক্ষকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। চেয়ার ছুড়েও নাকি মারতে দেখা যায় বরপক্ষের এক জনকে। রাগে বিয়ে ভেঙে বাড়ি ফিরে যান পাত্র।
সমস্যার শুরু বিয়ের মেনু নিয়ে। মেনুতে মাছ-মাংসের কোনও পদ ছিল না। নিমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করতে হরেক নিরামিষ পদের আয়োজন করেছিলেন পাত্রীর বাবা। এই তাঁর ‘অপরাধ’। বরযাত্রীরা আশা করেছিলেন পাতে আমিষের নানা পদ থাকবে। সেখানে তাঁদের মুখে নিরামিষ পোলাও, পনির-সহ নানা ধরনের নিরামিষ পদ রুচবে কী করে? বিয়ের অনুষ্ঠানে তা নিয়ে কনেপক্ষের সঙ্গে গোল বাধল বরপক্ষের।
অভিযোগ, নিরামিষ খাবার রান্না হয়েছে জেনে পাত্রীর বাবাকে মাছ-মাংসের আয়োজন না করার জন্য গালাগালি দিচ্ছিলেন হবু বর। তার পর কনেপক্ষকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন পাত্র এবং তাঁর আত্মীয়েরা।
রাগের বশে বিয়েই ভেঙে দেন পাত্র। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার আনন্দনগর গ্রামের। পাত্রের নাম অভিষেক শর্মা। দীনেশ শর্মার কন্যা সুষমা শর্মাকে বিয়ে করার কথা পাকা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু বিয়ের মণ্ডপেই বসতে আপত্তি জানান অভিষেক।
বিয়ে ভেঙে মোটা টাকার পণ নিয়ে ফিরে যান তিনি। পাত্রের বিরুদ্ধে দীনেশের অভিযোগ, ‘‘গাড়ি কেনার জন্য আমার কাছ সাড়ে চার লক্ষ টাকার পণ নিয়েছিল পাত্রপক্ষ। এক জোড়া তিলকের বাক্স এবং ২০ হাজার টাকা খরচ করে দু’টি সোনার আংটিও পাত্রকে দিয়েছিলাম আমি।’’ অভিযোগ, বরযাত্রীদের মাছ-মাংস খেতে না দেওয়ায় সে সব নিয়ে বিয়ে ভেঙে চলে যান পাত্র।